আজ অর্থাৎ বুধবার কলকাতা লিগে ডার্বির আগে জর্জ টেলিগ্রাফের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে নামছে ইস্টবেঙ্গল। শেষ ২৪ ঘণ্টা একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খেয়েছে লাল-হলুদ সমর্থকদের মনে। জর্জের বিরুদ্ধে কি মাঠে নামছেন জনি অ্যাকোস্টা! গতকাল এই অ্যাকোস্টার জন্যই আইএফএ-র অফিস খোল ছিল রাত বারোটা পর্যন্ত। সাধারণত সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে বঙ্গজ ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার কার্যালয়। ইস্টবেঙ্গলের অনুরোধেই এতটা বেশি সময় পর্যন্ত খোলা ছিল অফিস। কারণ কলম্বিয়ার সঙ্গে ভারতের সময়ের পার্থক্য ১০ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের। সেটা মাথায় রেখেই কাজ করতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেসিকে সেরা বলা অ্যাকোস্টার ভারতীয় ফুটবল নিয়ে ধারণাই নেই
অ্যাকোস্টা অনেক দিনই আগে কলকাতায় এসে গিয়েছেন। শুধুমাত্র একটি কারণেই আমনাদের সঙ্গে খেলা হয়নি তাঁর। আইটিসি (ইন্টারন্যশনাল ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) ইস্যুতে আটকে গিয়েছিলেন তিনি। কী এই আইটিসি? এক ফেডারেশন থেকে অন্য ফেডারেশনের ট্রান্সফারের বিষয়টাই আইটিসি। লাল-হলুদের আশা ছিল যে, কলম্বিয়ান ফুটবল ফেডারেশের থেকে গতরাতের মধ্যেই ছাড়পত্র মিলে যাবে। যেহেতু ট্রান্সফার ফি আগেই দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয়নি। রাত প্রায় পনে দু’টোর সময় অ্যাকোস্টার ছাড়পত্র পেয়েছে ইস্টবেঙ্গল। জানানো হয়েছে যে, এর মধ্যেই সইসাবুদ সেরে নেওয়া হবে। তবে জর্জের বিরুদ্ধে অ্যাকোস্টা নামছেন না। আগামী রবিবার ডার্বি দিয়েই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের বিরুদ্ধে তাঁর ইস্টবেঙ্গল অভিষেক হচ্ছে। ক্লাবের পক্ষ থেকেই একথা বলে দেওয়া হয়েছে এদিন।
আর এক বছর পরেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করবে পদ্মাপারের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ইস্ট বেঙ্গল। এবং শতবর্ষের প্রাক্কালে ইতিহাস লিখে ফেলছে লাল-হলুদ। কলকাতা লিগের মাঝেই তারা চলতি বিশ্বকাপারকে নিয়ে চমকে দিয়েছে। সদ্যসমাপ্ত রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলে আসা কোস্টা রিকার ডিফেন্ডার অ্যাকোস্টা এখন ইস্টবেঙ্গলের। বছর পঁয়ত্রিশের পাঁচ ফুট নয় ইঞ্চির এই সেন্টার ব্যাকই এখন যাবতীয় লাইমলাইটে।