আসছেন, ইস্টবেঙ্গলের নেতা আসছেন! জনি অ্যাকোস্টার ইস্টবেঙ্গলে খেলা চূড়ান্ত হয়ে গেল। জনি অ্যাকোস্টাকে ঘিরেই বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। বৃহস্পতিবারেও মিনার্ভা পাঞ্জাবের বাধা পেরোতে পারেনি লাল-হলুদ। ১-১ গোলে ড্র করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। কোচ বদলেও অবনমন আতঙ্কে এখনও ডুবে রয়েছে শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাব।
এর মধ্যেই জনি অ্যাকোস্টাকে আনার মরিয়া প্রয়াস কর্তাদের। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই ভিসা পেয়ে গিয়েছেন কোস্তারিকান বিশ্বকাপার। তাঁর স্ত্রী জানিয়েও দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলে জনির খেলার প্রায় পাকা। তবে বিলগ্নিকারী সংস্থার কর্তারা যদিও এই বিষয়ে কোনও মুখ খুলছেন না।
আরও পড়ুন কোয়েস নয়, ফুটবলে শেষ কথা ক্লাব-ই! জনি-কাণ্ডে ইঙ্গিত স্পষ্ট
এদিকে, চলতি সপ্তাহেই মার্তি ক্রেসপিকে সরিয়ে ভিক্টর পেরেজকে নিয়ে আসা হয়েছে। সমস্যা হল, জনির আগমনে নতুন করে সমস্যায় পড়তে চলেছে ইস্টবেঙ্গল। দল গঠন নিয়ে। প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, জনি এলে ফের কাকে বাদ পড়তে হবে! ভিক্টর ও কাশিম একই পজিশনের ফুটবলার। রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডে খেলে থাকেন দু-জনে। তবে ভিক্টরের আগমনে কাশিমের জায়গা হারানো নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ, ক্লাব কর্তাদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন তিনি। কোচ মারিও রিভেরারও সমস্যা নেই কাশিমকে নিয়ে।
তবে খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনজন- হুয়ান মেরা, মার্কোস এস্পাদা এবং কোলাডো। তিনজনের সমীকরণ অবশ্য় আলাদা। মার্কোস এস্পাদা সেরকমভাবে পছন্দের না হলেও টুর্নামেন্টে ইতিমধ্যেই ৫ গোল করে ফেলেছেন তিনি। গোল করার ক্ষেত্র বিচার্য হলে মার্কোসের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। পাশাপাশি, কোলাডোর ক্ষেত্রে তাঁর রক্ষাকবচ হতে পারে ক্লাবের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘচুক্তি। বেশি দিনের চুক্তি থাকার কারণে কোলাডোকে রিলিজ করতে হলে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হতে পারে ক্লাবকে।
আরও পড়ুন শতবর্ষের আগেই কী ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ ইস্টবেঙ্গল-কোয়েসের, জল্পনা তুঙ্গে
এক মরশুম আগে দেশ থেকে ভারতে এসেই ডার্বিতে ভাল পারফর্ম করেছিলেন কোলাডো। হয়ে উঠেছিলেন সমর্থকদের নয়ণের মণি। তবে চলতি টুর্নামেন্টে কোলাডো অতীতের ছায়া। মাঝমাঠে সেই ক্ষিপ্রগতির নড়াচড়া করতে আর দেখা যায়না তাঁকে। পড়তি ফর্মের পাশাপাশি মাঠের বাইরেও বেহিসেবি জীবন যাপন অভ্যস্ত। ক্লাবের অন্দরেই বলা হয়, শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা রয়েছে কোলাডোর। তীব্র অপছন্দের কোলাডোকে অর্থ খরচ করে সরিয়ে দিতে চাইছেন ক্লাব কর্তারাই। এমনটাই জানা গিয়েছে। তিনিই নাকি রয়েছেন হিটলিস্টে। একই পরিণতি হতে পারে হুয়ান মেরার ক্ষেত্রেও। তিনি এই মরশুমে মন্দের ভাল। তবে বাকি দলগুলির বিদেশি নির্বাচন হিসেবে রাখলে হুয়ান মেরার অনেকটাই সেই মান থেকে আবার পিছিয়ে।
আরও পড়ুন বাঙালি কোচের হাত ধরে মোহনবাগানের ‘পরিবর্ত’ আসছে আইলিগে
শোনা গিয়েছে, শনিবারেই ক্লাবের ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন শীর্ষকর্তা। সেখানেই বোঝা যেতে পারে রিলিজের খাড়া কোন ফুটবলারের ঘাড়ে নেমে আসতে পারে।
সবমিলিয়ে জনি এলেও ইস্টবেঙ্গলের সমস্যা কতটা মিটবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।