কোয়েস বিদায় নিচ্ছে লেসলি ক্লডিয়াস সরণি থেকে। বিদায়ের দিনক্ষণও প্রায় চূড়ান্ত। ক্লাবের প্রশাসন থেকেও তাই নিজেদের গুটিয়ে নেওয়া প্রক্রিয়া চালু হয়ে গিয়েছে। কোয়েস ব্যাকফুটে যেতেই ক্লাব প্রশাসনের রাশ ফের ক্লাব কর্তাদের হাতে। জনি অ্যাকোস্তার ঘটনায় সেই ইঙ্গিত আরও একবার স্পষ্ট।
শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল শোচনীয় পারফরম্যান্স মেলে ধরছে। আত্মবিশ্বাস তলানিতে। খেলতে নামলেই অবধারিত হার! পরপর হেরে অবনমন-আতঙ্ক ঘিরে ধরেছে শতবর্ষের মরশুমে। এমনটাই ধরে নিয়েছেন ক্লাব সমর্থকরা। দলের হাল ছেড়ে মাঝপথেই পাততাড়ি গুটিয়েছেন আলেয়ান্দ্রো মেনেন্ডেজ।
এমন অবস্থাতে ফের একবার কোচ করে আনা হয়েছে প্রাক্তন সহকারী মারিও রিভেরাকে। কোচের হটসিটে বসেই একাধিক পরিবর্তন করতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। তবে তাঁর পছন্দ-অপছন্দে এবার সরকারি শিলমোহর পড়ছে ক্লাব কর্তাদের নির্দেশে। কোয়েস এখন ক্লাবের নির্ণায়ক ক্ষমতা হারিয়েছে।
এমন অবস্থাতেই জনি অ্যাকোস্তাকে নিয়ে ক্লাবে শুরু নতুন সমীকরণ অঙ্ক। মারিও ক্লাবের দায়িত্ব নিয়েই চাইছেন একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে। তবে কাশিম আইদারা থাকায় নতুন করে রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার আনার বিষয়ে ভাবতে হচ্ছে। ক্লাব কর্তাদের বরং পছন্দ একজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। মার্তি ক্রেসপিকে নিয়ে সন্তুষ্ট নয় ক্লাব। কোলাডো, মার্কোস এস্পাদার খেলাতেও খুশি নয় লাল-হলুদ। তবে কোলাডোর সঙ্গে বেশিদিনের চুক্তি থাকায় এখনই স্প্যানিশ তারকাকে ছাড়তে পারছে না ইস্টবেঙ্গল। ছাড়লে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গোল করার জন্য ছাড় পেতে পারেন এস্পাদাও।
মারিও বেশ কিছু ফুটবলারের নাম ক্লাব কর্তাদের জানিয়েছেন। সেই তালিকায় নেই জনির নাম। ক্লাবকর্তারা চাইছেন, রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডারের পরিবর্তে জনি আসুক নিজের পুরনো ক্লাবে। সেক্ষেত্রে ছেড়ে দেওয়া হবে ক্রেসপিকে। স্প্যানিশ ডিফেন্ডারকে কয়েকমাসের ক্ষতিপূরণ দিতে হলেও ক্লাব কর্তারা আপাতত অবনমনের কথা ভেবে জনিতে সই করাতেই আগ্রহী। তবে সমস্যা অন্যত্র। জনি অ্যাকোস্তা বর্তমানে কোস্তারিকার একটি ক্লাবে চুক্তিবদ্ধ। দলবদলের উইন্ডোও খোলা নেই।
তবে বিকল্প দিক ভাবছেন ক্লাবকর্তারা। এর ইঙ্গিত মিলেছে জনি অ্যাকোস্তার স্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে। সেখানে তিনি ইস্টবেঙ্গলের ফেরার বিষয়ে প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সবমিলিয়ে জনিকে ফেরানোর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়েই যেন ক্লাব কর্তারা ফুটবলের মাণদণ্ড হাতে তুলে চাইছেন।