তৃণমূলে যোগ দিয়েই ভোটে প্রার্থী ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি। এমনটা জল্পনা ছিলই, শুক্রবার তাতে সিলমোহর দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জেলা হাওড়ারই শিবপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হলেন মনোজ। সেই সঙ্গে আরেক ক্রীড়াতারকা বিদেশ বসু প্রার্থী হলেন উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্র থেকে। এককালের দাপুটে ফুটবলার বিদেশ বসুর প্রার্থী হওয়া নিঃসন্দেহে চমকের। কিন্তু তৃতীয়বার প্রার্থী হওয়া হল না প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসের। বসিরহাট দক্ষিণ কেন্দ্রে দুবার জেতেন তিনি। প্রার্থী না হতে পেরে হতাশায় ফেসবুকে একটি পোস্টও করেন তিনি।
Advertisment
মনোজের নাম নিয়ে জল্পনা ছিলই। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করেছেন তিনি। এর আগে হাওড়ার আরেক ভূমিপুত্র ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে প্রার্থী করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটে জিতে মন্ত্রীও হন। কিন্তু সম্প্রতি ভোটের আগে তিনি মন্ত্রী ও জেলা সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজনীতি ছাড়েন। সেই জায়গায় মনোজ তিওয়ারি ফের এক ক্রিকেটার যিনি হাওড়া ভোটে লড়বেন। বয়সজনিত কারণে এবার শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থী হয়েই নিজের ফেসবুক পেজে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন মনোজ। লিখেছেন, "লড়াই শুরু, মানুষের সাথে থেকে, মানুষের পাশে থেকে চল কিছু করে দেখাই! উন্নততর বাংলা গড়তে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে চলব। কথা দিলাম…"।
একদিকে যখন হরষ, অন্যদিকে তখন বিষাদের সুর। গত ছবছর ধরে বিধায়ক, বসিরহাট দক্ষিণের ঘরের ছেলে প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দুকে এবার টিকিট দেয়নি দল। তাঁর জায়গায় প্রার্থী হয়েছেন, ডা. সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে হতাশ দীপেন্দু লিখেছেন, "দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছরের রাজনৈতিক লড়াইয়ে একবার বাদে প্রতিবার ভোটের লড়াইয়ে দলকে জিতিয়েছি। মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি সর্বক্ষণ। আমার ব্যবহারে কেউ দুঃখ পেলে ক্ষমা করবেন।"
স্বভাবতই দলের সিদ্ধান্তে কিছুটা হতাশ হয়েছেন তিনি। হতাশ তাঁর অনুগামীরাও। তবে যাঁদের এবার টিকিট দেওয়া হয়নি তাঁদের বিধান পরিষদে পাঠানোর চিন্তা ভাবনার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখন দেখার দীপেন্দু কী করেন।