Jos Buttler: জস বাটলার যেদিন জ্বলে ওঠেন, সেদিন আর বিপক্ষ দলের কাছে কিছু করার থাকে না। বুধবার (২ এপ্রিল) আইপিএল ম্য়াচে (IPL 2025) এমনই একটা দিনের সাক্ষী থাকল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (Royal Challengers Bengaluru)। এই ম্য়াচে বাটলার এলেন, দেখলেন এবং জয় ছিনিয়ে নিয়ে গেলেন। এই ম্য়াচে শুভমান গিলের দল ৮ উইকেটে জয়লাভ করল।
হাউ ইজ দ্য জস?
১৭০ রান হয়ত খুব বিশাল বড় কোনও স্কোর নয়। কিন্তু, গুজরাট টাইটান্সকে (Gujarat Titans) চাপে রাখার জন্য় যথেষ্টই ছিল। এই ম্য়াচে RCB ইনিংস দেখে যথাযথ শিক্ষা গ্রহণ করেছিল গুজরাট। শুরুতে উইকেট ছুড়ে আসা যাবে না। আর সেকথা মাথা রেখে ব্যাট করতে নামেন শুভমান গিল এবং সাই সুদর্শন। প্রথম উইকেটে ৩২ রানের পার্টনারশিপ হতেই, দলের ভিতটা মোটামুটি শক্ত হয়ে গিয়েছিল। আর এই ভিতের উপরেই কার্যত তাণ্ডব নৃত্য চালালেন বাটলার সাহেব।
তবে সাই সুদর্শনের আলাদা প্রশংসা অবশ্যই প্রাপ্য। মাত্র ১ রানের জন্য তিনি হয়ত হাফসেঞ্চুরি মিস করেছেন। কিন্তু, এই টুর্নামেন্টে গুজরাট টাইটান্সের হয়ে তিনি ধারাবাহিকভাবে ভাল পারফরম্য়ান্স করে যাচ্ছেন। আর শেষবেলায় রাদারফোর্ড যা করলেন, সেটা ধ্বংসলীলা বললেও কম বলা হয়। মাত্র ১৮ বলে ৩০ রান করে হাসিমুখে মাঠ ছাড়লেন তিনি। অবশ্যই দলকে জিতিয়ে।
এই ম্য়াচে কোথায় ভুল করল আরসিবি?
একে তো দলের টপ অর্ডার রান করতে পারেনি। এটা তাদের থেকে একেবারে প্রত্য়াশিত ছিল না। বিরাট এবং সল্টের আউট এই দলকে বড় ধাক্কা দিয়েছিল। মিডল অর্ডারে লিয়াম লিভিংস্টোন, জীতেশ শর্মা এবং টিম ডেভিড হাল না ধরলে, দলটা ১৫০-র চৌকাঠে পা রাখতে পারত কি না সন্দেহ রয়েছে।
এরপর বল হাতেও প্রত্য়াশা পূরণ করতে পারেননি আরসিবি বোলাররা। দরকারের সময় তুলে আনতে পারেননি উইকেটও। পাওয়ারপ্লে চলাকালীন বেঙ্গালুরুর বোলাররা মাত্র একটি উইকেট শিকার করেন। আর সেইসঙ্গে তাদের জয়ের আশাও সমানুপাতিক হারে কমতে থাকে। আর শেষবেলায় যখন বাটলার ফিফথ গিয়ারে চার্জ করতে শুরু করেন, তখন আরসিবি-র যাবতীয় আশা শেষ হয়ে যায়।