জীবনের স্বপ্ন একবারের জন্য হলেও মোহনবাগানকে কোচিং করানো। বাগান-দিবসে এমনটাই জানালেন সবুজ-মেরুনের ঘরের ছেলে জোসে রামিরেজ ব্যারেটো।
করোনা অতিমারীর কারণে মোহনবাগান দিবসে ভার্চুয়ালি এক চ্যাট শো-এর আয়োজন করা হয়েছিল, তারকা ফুটবলারদের নিয়ে। সেখানেই ব্যারেটো জানান, "আমরা প্রত্যেকেই স্বপ্ন নিয়ে থাকি। আমার স্বপ্ন হল, মোহনবাগানের কোচ হওয়া। এটা একটা অপূর্ণ স্বপ্নের মতোই। কোচ হলে ফের সমর্থকদের সঙ্গে একত্রিত হতে পারব।"
এখানেই না থেমে বাগানের সবুজ তোতা বলেছেন, "মোহনবাগানের হয়ে যে কাজই করি, তা গর্বের সঙ্গেই করে থাকি। ওদের হয়ে অনেক দিন খেলেছি। সমর্থক, কর্তা সবাই আমার কাছে পরিবারের মতই হয়ে গিয়েছে।"
চলতি মরশুমেই এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে মোহনবাগান। সংযুক্ত হয়েই আইএসএলে খেলবে গঙ্গাপাড়ের ক্লাব। এই পার্টনারশিপকে স্বাগতই জানাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। ব্যারেটো সেই চ্যাট শো এ বলেছেন, "এটা দারুণ হয়েছে। অনেকটা যেন দুটো ফুটবল আত্মা একত্রিত হওয়ার মত। বাংলার ফুটবলে এই পার্টনারশিপ ছাপ ফেলে যাবে।"
বর্তমানে রিল্যায়েন্স ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কোচিংয়ে যুক্ত বাগানের জার্সিতে জাতীয় লিগে ৯৪ গোল করা তারকা। মোহনবাগানের জার্সিতে দু-বার আলাদা আলাদাভাবে খেলেছেন এক দশকেরও বেশি। ১৯৯৯-২০০০ এবং ২০০১-০২ জাতীয় লিগে মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।
যাইহোক, মোহনবাগান দিবসে তিনি ছাড়াও চ্যাট শোয়ে হাজির ছিলেন বাইচুং ভুটিয়া, সনি নৰ্দে, গতবারই সবুজ মেরুন জার্সিতে খেলে যাওয়া জোসেবা বেইতিয়ার মত সুপারস্টাররা। বাইচুং, সনি নর্দেরাও এটিকে-র সঙ্গে মোহনবাগানের গাঁটছড়া বাঁধাকে সমর্থন করেছেন।
১৯১১ সালে আইএফএ শিল্ডে ইস্ট ইয়র্কশায়ার রেজিমেন্টকে ইতিহাসিক ম্যাচে হারানোর পর প্রতি বছর ২৯ জুলাই বিশ্বজুড়ে মোহনবাগান দিবস পালন করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে এই জয় অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। ভারতীয়রাও যে ব্রিটিশদের হারাতে পারে সেই বিশ্বাসটাই গোটা দেশে সঞ্চারিত করেছিল এই একটা জয়। ঐতিহাসিক এই মোহনবাগান দিবসেই ক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে সম্মান জানানো হয় পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে।
গতকাল ২৯ জুলাই মোহনবাগান রত্ন দেওয়া হল হকির মহাতারকা গুরবক্স সিং এবং প্রাক্তন বাংলা ক্রিকেটার পলাশ নন্দীকে।