কোচ হয়েও হওয়া হল না। আক্ষেপেই শেষমেশ সঙ্গী হল জোসেফ গামবাউয়ের। অনেক টালবাহানা নাটকীয় উত্থান পতন পেরিয়ে ইস্টবেঙ্গলের কোচ হিসাবে নিয়োগ করা হল কার্লেস কুয়াদ্রাতকে। তবে এক মাস আগেও পরিস্থিতি এরকম ছিল না। জোসেফ গামবাউ কার্যত কোচের চেয়ারে বসেই পড়েছিলেন।
আইএসএল শেষ হতে না হতেই গামবাউয়ের ইস্টবেঙ্গলের বস হওয়ার জল্পনা গতি পেয়েছিল। তিনি নাকি কলকাতাতেও এসেছিলেন। যদিও তিনি বারবার সেই সময় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলে গিয়েছেন স্পেনেই ফিরে গিয়েছেন তিনি।
তবে ইমামি কর্তাদের পছন্দের তালিকায় একনম্বরে থাকা গামবাউ যে কোচ হতে পারেনি ইস্টবেঙ্গলের আপত্তিতে। বার্সেলোনা যুব দল, এ লিগ, অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলে কোচিংয়ের ঝকঝকে বায়োডেটা থাকলেও গামবাউ ভারতীয় ফুটবলে সেভাবে সফল নন। দু- দফায় ওড়িশা এফসির কোচ হলেও সেভাবে দাগ কাটতে পারেননি। তাছাড়া ফুটবলারদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই বিষয়টিই ইমামি কর্তাদের কাছে তুলে ধরা হয় ইস্টবেঙ্গলের তরফে। দফায় দফায়। শেষে ক্লাবের আপত্তিতে বাতিলের খাতায় চলে যান গামবাউ।
আরও পড়ুন: ISL জয়ী কোচই ইস্টবেঙ্গলে! লোবেরা কাণ্ডের পরেও প্রতিশ্রুতি রাখল লাল-হলুদ
মঙ্গলবার মহা-ঘোষণায় কুয়াদ্রাতের কোচ হওয়ার ঘোষণার পরেই ওড়িশা এফসির প্রাক্তন হেড স্যার একান্ত সাক্ষাৎকারে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলে দিলেন, "কুয়াদ্রাতের খবর দেখলাম। ওঁর জন্য শুভেচ্ছা রইল।" প্রশ্ন করা হয়, ইস্টবেঙ্গলের মত বড় ক্লাবে কোচিং করানোর সমস্ত মাপকাঠিও তো আপনার ছিল। হতাশ হতে হল? মুহূর্তে দার্শনিক হয়ে যাওয়া বার্সার প্রাক্তন যুব কোচ জানালেন, "নিশ্চয় আমার সেই দক্ষতা ছিল। তবে কোনও অনুশোচনা নেই। এগিয়ে যাবই। নিশ্চয় ভালো কিছু আসতে চলেছে।"
ভারতে কোচিং করাতে চান। জানাচ্ছেন, "কিছু অল্পবিস্তর অফার রয়েছে।" একটা সময়ে ইস্টবেঙ্গলের কোচ প্রায় হয়েই গিয়েছিলেন। সিলমোহরের অপেক্ষায় ছিল সেই চুক্তি। পুরোনো অধ্যায় ভুলে আপাতত সামনে দেখছেন দার্শনিক গামবাউ। বলে দিলেন, "এটাই জীবন।"
আক্ষেপ, আর হতাশা বোধহয় মিশে থাকল সেই ছোট্ট বক্তব্যে!