Advertisment

ইস্ট-মোহনের কল্যাণই ফেডারেশনের মসনদে! দাঁড়াতেই পারল না বাইচুং

ফেডারেশনের নির্বাচনে অবশেষে কল্যাণ চৌবের জয়জয়কার। বাইচুং ভুটিয়াকে হারিয়ে এবার ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

অবশেষে এআইএফএফ কল্যাণময়। প্রফুল্ল প্যাটেলের জমানা খতমের পর সরকারিভাবে ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন ইস্ট-মোহন দুই প্রধানে খেলা কল্যাণ চৌবে। এই প্রথমবার ফেডারেশনের সভাপতির মসনদে বসবেন কোনও প্রাক্তন ফুটবলার।

Advertisment

৩৪টি ভোটাভুটিতে দুই প্রধানের প্রাক্তন গোলকিপার কল্যাণ চৌবে বাইচুং ভুটিয়াকে হারালেন ৩৩-১ ব্যবধানে।

খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন। আপাতত ফের একবার ফুটবলের মূলস্রোতে কল্যাণ চৌবে। তবে ফুটবলার নয়, প্রশাসকের ভূমিকায়।

আরও পড়ুন: নিজের নামেই ISL-এ ইস্টবেঙ্গল! মোহনবাগানকে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই জোর টেক্কা লাল-হলুদের

ফেডারেশনের ডামাডোলে ফিফা নিষিদ্ধ করেছিল ভারতীয় ফুটবল। স্বল্প মেয়েদের সেই নির্বাসন উঠেও গিয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে কমিটি অফ এডমিনিস্ট্রেটর দায়িত্ব নেওয়ার পরে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কারণ জানিয়ে ফিফা নির্বাসনে পাঠিয়েছিল ভারতীয় ফুটবলকে।

নির্বাচনে কেন্দ্রীয় শাসকদলের স্নেহধন্য বাঙালি ফুটবলার প্ৰথম থেকেই ফেভারিট ছিলেন। তবে ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার-বয় বাইচুং নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর থেকেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও রাজনৈতিক সংস্রবের কারণে ফেডারেশনের নির্বাসনে ফেভারিট কল্যাণই ছিলেন। শুক্রবার সেই ধারণাতেই সিলমোহর পড়ল।

কল্যাণ চৌবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই বাইচুং ভুটিয়া শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নিজের প্রাক্তন সতীর্থকে। "কল্যাণকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আশা করি, কল্যাণের নেতৃত্বে ভারতীয় ফুটবল আরও সামনে অগ্রসর হবে। নির্বাচনের আগে থেকেই ফুটবলের সঙ্গে জড়িত। এই নির্বাচনের পরেও সেই কাজ চালিয়ে যাব।"

নির্বাচনের গণনা চলাকালীনই বাইচুং কক্ষ ছাড়েন। তখনও ভাইস প্রেসিডেন্ট, কোষাধ্যক্ষ পদের গণনা চলছিল। পরে বাইচুং জানান, প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে ফেডারেশনের এগজিকিউটিভ কমিটির সদস্য থাকবেন।

আরও পড়ুন: শেষ আটের রাস্তা জটিল, কোন অঙ্কে ফেরান্দোর বাগান পৌঁছবে ডুরান্ডের কোয়ার্টারে! মেলান হিসেব

তাঁর আরও সংযোজন, "আমি নিজে ফুটবল ক্লাব চালাই বহুদিন ধরে। সিকিম ফুটবল সংস্থায় ছয় বছর ছিলাম। ইংল্যান্ডে খেলার মত অভিজ্ঞতাও রয়েছে আমার। বিশ্বের সেরা সেরা কিছু ফুটবলারের সংস্পর্শেও রয়েছি। ফুটবলারদের নিজস্ব সংস্থা প্লেয়ার্স এসোসিয়েশনও চালু করেছিলাম।"

ফেডারেশনের সভাপতি হয়ে মধুচন্দ্রিমা কাটানোর সুযোগও হয়ত পাবেন না কল্যাণ। কারণ অক্টোবরেই মহিলাদের যুব বিশ্বকাপ। ফুটবল প্রশাসনে স্থিরতা আনার সঙ্গেই এই টুর্নামেন্ট ঠিকঠাক আয়োজন করার চ্যালেঞ্জ কল্যাণের।

AIFF Baichung Bhutia Indian Football
Advertisment