হেড কোচ নির্বাচন করা হয়ে গিয়েছে শুক্রবারেই। এবার টিম ইন্ডিয়ার সাপোর্ট স্টাফ নির্বাচনের দায়িত্ব এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির। তবে কপিল দেব সহ ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা সাপোর্ট স্টাফ নির্বাচনের দায়িত্বও সামলাতে চান। এমনটাই জানালেন স্বয়ং কপিল দেব। হেড কোচ হিসেবে শাস্ত্রীকে পুনরায় নির্বাচিত করার পরেই কপিল দেব জানিয়ে দিলেন, আমাদের মতামত অবশ্যই থাকা প্রয়োজন। যদি আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাহলে জানাচ্ছি, "আমরা ইতিমধ্যেই সাপোর্ট স্টাফদের বিষয়ে বোর্ডের কাছে আমাদের সুপারিশ করা কিছু নাম পাঠিয়ে দিয়েছি। যদি আমরা এই কাজ না করি, তাহলে তা ঠিক হবে না।"
Advertisment
ঘটনাচক্রে, কোন ভিত্তিতে এমএসকে প্রসাদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটি সাপোর্ট স্টাফ নির্বাচন করছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। বোর্ডের নতুন সংবিধানেও এই বিষয়ে কিছু ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। দেশের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক জানাচ্ছেন, "আমরা তাঁদের জানিয়েছি, সাপোর্ট স্টাফ নির্বাচনের দায়িত্বেও আমরা থাকতে চাই। খুব শীঘ্রই বোর্ডের তরফে এই বিষয়ে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হবে সংবাদমাধ্যমে।" জানা গিয়েছে, সোমবার ১৯ তারিখে সাপোর্ট স্টাফ নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার, বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর এবং প্রশাসনিক ম্যানেজার সুনীল সুব্রহ্মণ্যম-এর চুক্তি বিশ্বকাপের পরেই ৪৫ দিন বাড়ানো হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর পর্যন্ত। সাপোর্ট স্টাফদের এই নির্বাচন নিয়েই কপিল দেব আরও জানিয়েছেন, "নিজেদের মধ্যে কোনও যোগাযোগের ফাঁক থাকা উচিত নয়। নির্বাচক কমিটি এবং আমাদের উপদেষ্টা কমিটির শক্তি একই। জাতীয় দল যাতে উপকৃত হয়, সেই বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে।"
ব্যাটিং কোচের পদে সঞ্জয় বাঙ্গারের পরিবর্তে দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়ে ফেভারিট বিক্রম রাঠোর। পাশাপাশি লড়াইয়ে রয়েছেন ভারতের প্রবীণ আমরে, ইংল্যান্ডের মার্ক রামপ্রকাশ এবং জোনাথন ট্রট। বোলিং কোচের পদে ভেঙ্কটেশ প্রসাদ, জারেন গফ এবং সুনীল যোশী আবেদন করলেও ভরত অরুণকেই রেখে দেওয়া হতে পারে। ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের সঙ্গে প্রবলভাবেই দায়িত্ব নিতে আগ্রহী সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ফিল্ডার জন্টি রোডস। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং কোচ পদের জন্য বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে আবেদনকারীকে আন্তর্জাতিক স্তরে ন্যূনতম ১০টেস্ট, ২৫ ওয়ানডে খেলতে হবে। এবং বয়স হতে হবে ৬০ বছরের কম।