করোনা মোকাবিলায় ভারত-পাকিস্তানের চ্যারিটি ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শোয়েব আখতার। সংগৃহীত অর্থ করোনা ত্রাণে দুই দেশের মধ্যে ভাগ করার কথাও বলেছিলেন তিনি। শোয়েব আখতারের সেই প্রস্তাব উড়িয়ে কপিল দেব সাফ জানিয়ে দিলেন ভারতের এই অর্থের কোনো প্রয়োজন নেই।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া বিবৃতিতে দেশের প্রথম বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক বলে দিয়েছেন, "ওঁর নিজস্ব মতামত থাকতেই পারে। তবে অর্থ সংগ্রহের জন্য ভারতের ম্যাচ খেলার দরকার নেই। যেটা আমাদের কাছে প্রয়োজনীয় তা হল সংকট মেটাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে একত্রে কাজ করতে পারে। টিভিতে এখনও দোষের খেলা চলছে। এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধ হওয়া দরকার।"
তিনি আরও জানিয়েছেন, "বিসিসিআই মোটা অংকের টাকা দান করেছে। প্রয়োজন হলে আরো অর্থ দান করার মতো অবস্থায় রয়েছে। ত্রাণের জন্য ম্যাচ খেলার কোনো প্রয়োজন নেই।"
এই ম্যাচ খেললে তা বরং বিপত্তি ডেকে আনতে পারে। এমনটাই জানাচ্ছেন দেশের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার, "পরিস্থিতি খুব তাড়াতাড়ি যে স্বাভাবিক হবে এমন সম্ভাবনা কম। এমন মুহূর্তে ম্যাচ আয়োজন করে বিপদ বাড়ানোর দরকার নেই। তিনটে ম্যাচ খেলে কটা টাকাই বা পাওয়া যাবে। ক্রিকেটারদের কম করে সামনের ৫-৬ মাস বাদ দিয়ে ভাবতে হবে।"
কপিল দেব আরো বলেছেন, "পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ক্রিকেট খেলা ঠিক শুরু করা যাবে। দেশের থেকে খেলা বড় হতে পারে না। বর্তমান অবস্থায় যারা এই যুদ্ধে সামনের সারিতে রয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ এবং দরিদ্রদের কথা ভাবতে হবে।"
ভারত যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ বিদেশের একাধিক দেশকে সাহায্য করছে, তাতে গর্বিত বোধ করছেন ৬১ বছরের মহাতারকা। "অন্যদের সাহায্য করা আমাদের সংস্কৃতির অংশ। আমি এজন্য গর্ববোধ করছি। আমাদের এমন দেশ হয়ে উঠতে হবে যে অন্যদেশের থেকে নেওয়ার তুলনায় যেন বেশি দান করতে সক্ষম থাকি।"
এর আগে সংকটের মুহূর্তে আখতারের প্রস্তাব ছিল, "তিনটি ওডিআইয়ের সিরিজ খেলা হোক। এই প্রথমবার খেলার ফলাফল নিয়ে কোনো দলের সমর্থকই হতাশ হবে না। তবে আমরা কেবল প্রস্তাব দিতে পারি। বাকিটা দেখার দায়িত্ব দুই দেশের সরকারের।"
শোয়েব আরও বলেছিলেন, "যদি বিরাট কোহলি সেঞ্চুরি হাকায় আমরা খুশি হবো। বাবর আজম শতরান করলে ইন্ডিয়া খুশি হবে। দুই দেশই দুই দেশের জন্য খেলবে। এই ম্যাচ থেকে যে অর্থ উঠবে তা দুই দেশের সরকার করোনা মোকাবিলায় ভাগ করে নিক। গোটা বিশ্ব এই ম্যাচ দেখবে। এই ম্যাচের মাধ্যমে অনেক অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব। কঠিন পরিস্থিতিতে দেশের চরিত্র এতে প্রকাশ পাবে।"