বোর্ডের ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি (সিএসি) থেকে পদত্য়াগ করলেন কপিল দেব। উপদেষ্টা কমিটির দ্বিতীয় সদস্য় হিসাবে সরে দাঁড়ালেন দেশের প্রাক্তন বিশ্বকাপ অধিনায়ক। স্বার্থ সংঘাতের ইস্যুতে বিসিসিআইয়ের এথিক্স অফিসার ডিকে জৈনের নজরে এসেছিলেন সিএসি-র তিন সদস্য় কপিল দেব, অংশুমান গায়কোয়াড় এবং শান্তা রঙ্গস্বামী।
-->
কপিলদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের লাইফ মেম্বার সঞ্জীব গুপ্তা। এরপরেই জৈন সিএসি-র সদস্য়দের নোটিশ পাঠিয়ে ১০ অক্টোবরের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলেন। জানতে চাওয়া হয়েছিল বোর্ডের পদাধিকারী হয়েও তাঁরা কী করে একের বেশি পদে রয়ে গিয়েছেন। নোটিশ পাওযার পরদিনই পদত্যাগ করেন রঙ্গস্বামী। এবার দায়িত্ব ছাড়লেন কপিল। যদিও এখনও গায়কোয়াড় কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি।
আরও পড়ুন: স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ উঠল কপিল দেব সহ উপদেষ্টা কমিটির বিপক্ষে
বিসিসিআই-এর সিইও রাহুল জহুরীকে লেখা চিঠিতে কপিল জানান, " অ্যাড-হক কমিটির অংশ হয়ে ভারতীয় পুরুষ দলের কোচ বেছে নেওয়ার কাজটা ছিল অত্যন্ত আনন্দের। আমি এই পদে থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।" জাতীয় দলের তিন প্রাক্তন ক্রিকেটারকে এর আগে অ্যাড হক কমিটি গঠন করে কোহলিদের কোচ বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। নিজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে রবি শাস্ত্রী ফের একবার জাতীয় দলের কোচ হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কপিল দেবের নেতৃত্বে বোর্ডের এই উপদেষ্টা কমিটি কোচ হিসেবে পুনর্নিয়োগ করে শাস্ত্রীকেই।
-->
বোর্ডের পদাধিকারী হওয়া সত্ত্বেও বিসিসিআইয়ের অর্থানুকুল্য়ে তৈরি হওয়া ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন’ (আইসিএ)-এর ডিরেক্টর পদে রয়েছেন কপিল এবং শান্তা। অন্যদিকে গায়কোয়াড় আবার বোর্ডের মেম্বার অ্যাফিলিয়েশন কমিটির সদস্য। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, কপিল দেবের নিজস্ব কোম্পানি ‘দেব মুসকো’ আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলার সময়ে দেশের বিভিন্ন ক্রিকেট ভেন্যুতে ফ্লাডলাইট সাপ্লাই করে বলেও জানা গিয়েছে।