আইপিএল থেকে ছিটকে গেলেন চেন্নাই সুপার কিংসের অলরাউন্ডার কেদার যাদব। গ্রেড-টু হ্যামস্ট্রিং চোটেই তাঁর এবারের মতো আইপিএল অভিযানে যবনিকা পড়ে গেল। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই চোট পান কেদার।
মুম্বই ম্যাচে কেদার চার নম্বরে ব্যাট করতে এসেছিলেন। রান তাড়া করতে নেমে তিনি আহত ও অবসৃত হন। এরপর ধোনির টিমের ন’নম্বর উইকেট পড়তেই ফের মাঠে ফেরেন কেদার। সে মুহূর্তে চেন্নাইয়ের জেতার জন্য় শেষ ওভারে সাত রান প্রয়োজন ছিল। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে কেদার পরপর চার ও ছয় হাঁকিয়ে চেন্নাইয়ের প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখেন।
এখনও পর্যন্ত কেদারের পরিবর্ত খেলোয়াড় বেছে নেয়নি চেন্নাই। আগামিকাল কলকাতার বিরুদ্ধে চিপকে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ। কেদারের অনুপস্থিতি নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা হলুদবাহিনীতে। চেন্নাইয়ের ব্যাটিং কোচ মাইকেল হাসি বলছেন, “যাদবকে হারানোটা আমাদের জন্য বড় ক্ষতি। ও নিশ্চিত ভাবে একজন দুর্দান্ত প্লেয়ার। মিডল-অর্ডারে একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।”
কেদার এ বছর চেন্নাই দলে সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। ৭.৮ কোটি টাকায় তাঁকে চলতি বছর নিলামে নিয়েছিল দল। যাদব না-খেললে সেক্ষেত্রে মিডল অর্ডারে আম্বাতি রায়ডু ফিরতে পারেন। প্রথম ম্যাচে যিনি শেন ওয়াটসনের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন। সেক্ষেত্রে চেন্নাই ম্যানেজমেন্ট মুরলী বিজয়ের কথা ওপেনিংয়ে ভাবতে পারেন। প্রথম ম্যাচে বিজয় খেলতে পারেননি। ট্রেনিংয়ের সময় পাঁজরে চোট পান তিনি।দিল্লির ধ্রব শোরে ও কিতিজ শর্মা রয়েছেন চেন্নাই দলে। যাঁরা এখনও খেলেননি।
অন্যদিকে চেন্নাই দলের স্টার ক্রিকেটার ফাফ দু প্লেসি আঙুলে চোট পেয়েছেন। কলকাতা ম্যাচে তাঁর না-খেলার সম্ভাবনাই বেশি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ চলাকালীন নেটে ব্যাট করার সময় তিনি চোট পেয়েছিলেন। সম্ভবত মোহালিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে তৃতীয় ম্যাচে তিনি খেলতে পারেন। অন্যদিকে মিচেল স্যান্টনার টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই চোট পেয়ে চেন্নাই শিবির থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন