মোহনবাগান-মহমেডান ম্যাচে একাই লাইমলাইট কেড়ে নিয়েছিলেন তীর্থঙ্কর দাস। কালো-সাদা জার্সিতে বছর সাতাশের ফুটবলার শুধু অসাধারণ গোলই করনেনি এদিন। দলের বাকি দু'টি গোলেও রেখেছেন তাঁর অবদান। ম্যাচের সেরা ফুটবলারও হয়েছেন তিনি।
সাংবাদিকদের আবদার মেনেই ম্যাচের পর যুবভারতীর প্রেস কনফারেন্স লাউঞ্জে এলেন তিনি। স্কীকার করে নিলেন এটাই তাঁর কেরিয়ারে সেরা ম্যাচ। কিন্তু আপাতত আনন্দে গা ভাসাতে রাজি নন বেলঘড়িয়ার ছেলে। বলছেন, "ভাগ্য আমাদের সঙ্গে ছিল বলেই জিতেছি। স্কোরলাইন ৬-২ হতে পারত। আজকের ম্যাচটা জেতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লিগ এখন ওপেন। যে কেউ জিততে পারে। আমরাও জেতার ব্যাপারে আশাবাদী। কিন্তু এখন আনন্দ করতে চাই না। ম্যাচ বাই ম্যাচ ভাবতে চাই। সামনে পিয়ারলেস-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ আমাদের লক্ষ্য। এই জয় দলের মোটিভেশন বাড়িয়ে দেবে।
তীর্থঙ্কর আরও জানিয়েছেন অতীতে এই মোহনবাগান ক্লাবেই ব্রাত্য ছিলেন। এটাই তাঁকে আজকের ম্যাচে বাড়তি মোটিভেশন জুগিয়েছে। তিনি মনে করেন ভবিষ্যতে যে দলেই খেলবেন নিজের সেরাটা এভাবেই উজাড় করে দেবেন।
তীর্থঙ্করের প্রশংসা করে গেলেন বাগান কোচ কিবু ভিকুনাও। তিনি বললেন, "ওর সম্বন্ধে আমরা জানতাম। মহমেডানের ও অন্যতম সেরা ফুটবলার। দুর্দান্ত খেলেছে। গোলটাও অসাধারণ করেছে।
মহমেডান টিডি দীপেন্দু বললেন, তাঁর দল প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক আর প্লেসিং ফুটবল খেলেই জিততে চেয়েছিল। এটাই তাদের স্ট্র্যাটেজি ছিল। পারফরম্যান্সে তিনি খুশি। আশা করছেন লিগ জেতার। অন্যদিকে ভিকুনা মেনেই নিলেন যে, তাঁদের লিগ এবারের মতো শেষ। স্প্যানিশ কোচ বললেন, "আমরা দৌড় থেকে ছিটকে গেলাম। মরসুমের সবচেয়ে খারাপ ফুটবলটা খেলেছি। ওরা সত্যি বলতে আমাদের থেকে অনেক ভাল ফুটবল খেলেছে আজ। আমার এই হার ব্যাখ্যার মতো ভাষা নেই কোনও।"