/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/08/Kieron-Pollard-Rashid-Khan.jpg)
Kieron Pollard-Rashid Khan: পোলার্ডের বিধ্বংসী পারফরম্যান্সের মুখে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন রশিদ খান। (ছবি- টুইটার)
Kieron Pollard sixes, Rashid Khan: শততম ম্যাচে রশিদ খানের বিরুদ্ধে টানা পাঁচটি ছক্কা হাঁকালেন কাইরন পোলার্ড। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি আইপিএল থেকেও অবসর নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান পাওয়ার হাউস দেখালেন যে, তাঁর ট্যাংকে এখনও অনেক জ্বালানি অবশিষ্ট আছে। পোলার্ড তাঁর শততম ম্যাচে স্পিনার রশিদ খানের বলে পরপর পাঁচটা ছক্কা হাঁকালেন। সাউদার্ন ব্রেভের হয়ে পোলার্ড এক ওভারে টানা পাঁচটি ছয় মেরে ট্রেন্ট রকেটসের রশিদকে রীতিমতো চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেন। পোলার্ডের এই অসাধারণ পারফরম্যান্সের দৌলতে ১০ আগস্ট শনিবার, সাউদাম্পটনের রোজ বোল-এ মাত্র একবল বাকি থাকতেই সাউদার্ন ব্রেভ জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১২৭ রান তুলে নেয়।
রশিদ তার প্রথম ১৫ বলে তেমন একটা রান দেননি। ১০ রান দিয়ে ১ উইকেটও নিয়েছিলেন। সেই সময় বিপক্ষ দলের ২০ বলে ৪৯ রানের প্রয়োজন ছিল। পোলার্ড বেধড়ক পিটিয়ে তাঁর দলের পক্ষে খেলার দিক পরিবর্তন করে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার প্রথম দুই বল কাউ কর্নার ও লং-অফ দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠান। এর পর রশিদের মাথার ওপর দিয়ে সোজা, আর ডিপ মিড-উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন। পঞ্চম বলে লং-অফের দিকে আরও একটি ছক্কা মারেন। এই বিধ্বংসী আক্রমণ ঠিক করে দেয় পোলার্ডের দলের জিততে ১৫ বলে ১৯ রান তুললেই যথেষ্ট।
আরও পড়ুন- রুপোটা ওঁকে দেওয়া উচিত ছিল! ভিনেশের প্যারিসের স্বপ্নভঙ্গে এবার মুখ খুললেন সৌরভ, উঠল ঝড়
সাউদার্ন ব্রেভকে এইভাবে জয়ের রাস্তায় নিয়ে আসতে পোলার্ড মোট ২৩ বলে ৪৫ রান করেন। পরের ওভারে ক্যালভিন হ্যারিসনের বলে রান আউট হওয়ার আগে তিনি দুটি চারও মারেন। এরপর ক্রিস জর্ডান ব্যাট হাতে ইনিংসের শেষ বলে চার মেরে সাউদার্ন ব্রেভের জয় নিশ্চিত করেন। জয়ের পর ভাবলেশহীন পোলার্ড বলেন, 'আশাকরি অনেক কিছু শিখলাম। পরের বার যাতে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, সেটা দেখব।'
Kieron Pollard hitting FIVE SIXES IN A ROW! 😱#TheHundred | #RoadToTheEliminatorpic.twitter.com/WGIgPFRJAP
— The Hundred (@thehundred) August 10, 2024
রশিদ খানের বিরুদ্ধে এতগুলো পরপর ছয় মেরেও বিরাট কোনও উচ্ছ্বসিত নন পোলার্ড। তিনি বলেন, 'আমি ওঁর বিরুদ্ধে অনেক খেলেছি। ও আমাকে অনেকবারই আউট করেছে। আমি জানতাম যে ওর বল করার সম্ভাবনা ছিল। লাইন এবং লেন্থ মেনে বল করবে। আমি শুধু আত্মবিশ্বাস বজায় রেখেছিলাম। ও যদি শর্ট বল করে, সেই প্রতীক্ষায় ছিলাম। রশিদ তিনটে ফুলার বল করেছিল। সেগুলোকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছি। এমনিতে রশিদ একজন বিশ্বমানের বোলার। আমরা একে অপরের বিরুদ্ধে অনেক খেলেছি।'