ভারত: ০
লেবানন: ১ (আল জেইন)
কিংস কাপে চতুর্থ স্থানেই ফিনিশ করল টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচের শেষ কোয়ার্টারে গোলহজম করে ০-১'এ ভারত হার মানল। তাইল্যান্ডের চিয়াং মাই স্টেডিয়ামে তৃতীয় স্থান নির্ধারক ম্যাচে খেলতে নেমেছিল। তবে ৭৭ মিনিটে গোল হজম করল ব্লু টাইগাররা।
পূর্ণ শক্তির দল নামিয়েছিলেন কোচ ইগর স্টিম্যাচ। আনোয়ার, মহেশ, অনিরুদ্ধ, ছাংতে, সামাদ- একের পর এক তারকাকে লেবাননের বিপক্ষে নামিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়ান কোচ। গুরপ্রীত নয়, ক্যাপ্টেন করা হয়েছিল সন্দেশ ঝিংগানকে। তবে নেতা হিসেবে দলকে জেতাতে পারলেন না সন্দেশ।
গত তিন মাসে চার বার লেবাননের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। ঘরের মাঠে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, ইন্টার কন্টিনেন্টাল কাপেও লেবাননকে মাটি ধরিয়েছিল। তবে তাইল্যান্ডে হারতে হল ভারতকে।
বিরতির আগে দুই দলই গোল করতে পারেনি। ম্যাচের শুরুতে ভারতকে বেশ বেগ দিচ্ছিলেন মহম্মদ হায়দাররা। তবে ম্যাচ গড়ানোর সঙ্গেসঙ্গে ভারত ম্যাচে ফিরে এসেছিল। মাঝমাঠে দখল নিয়ে লেবানন বক্সে অতর্কিতে কাউন্টার এটাক করছিলেন মহেশ, মনবীররা। রক্ষণে ভরসা জোগানোর মত পারফর্ম করছিলেন আনোয়ার আলি।
৩৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছিল ভারত। হাওয়ায় থ্রু বল পেয়ে অনিরুদ্ধ থাপা গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন। লেবানন কিপার খলিল এগিয়ে আসায় ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দিতে পারতেন অনিরুদ্ধ। তবে সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেননি।
বিরতির পর সদর্থক ভঙ্গিতেই ম্যাচ শুরু করেছিল ভারত। তবে আকাশ মিশ্রের ভুলে ভারত ৬৪ মিনিটেই পিছিয়ে পড়তে পারত।
গুরপ্রীতকে ব্যাকপাস করতে গিয়েছিলেন আকাশ। সেই লুজ বল ধরেই গোলের জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন ডারউইচ। তবে মোক্ষম সময়ে শারীরিক বল ক্লিয়ার করে দেন গুরপ্রীত।
৬৪ মিনিটে ভারত বিপদ থেকে বাঁচলেও ৭৭ মিনিটে গোল হজম করে ভারত। কর্নার থেকে উঠে আসা বলে সাবরা প্রায় গোল করে দিয়েছিলেন। তবে গুরপ্রীত প্ৰথমে সেভ করলেও রিবাউন্ড থেকে গোল করে যান আল জেইন।
এরপর ভারত আর সমতা ফেরানোর গোল করতে পারেনি। প্ৰথম ম্যাচে ইরাকের বিপক্ষে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েও টাইব্রেকারে হেরে যায় ভারত। এরপরে রবিবার লেবাননের কাছে হার। কিংস কাপ থেকে হতাশা নিয়েই ফিরছে ভারত।