২০২২ বার্মিংহ্য়াম কমনওয়েলথ গেমসে (সিডব্লিউজি) শুটিংকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। এই মর্মেই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু চিঠি লিখলেন নিকি মর্গ্য়ানকে। যিনি ইউকে সেক্রেটারি ফর ডিজিট্য়াল, কালচার, মিডিয়া অ্যান্ড স্পোর্ট (ডিসিএমএস) পদে রয়েছেন।
১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম কমনওয়েলথের আসর থেকে শুটিং বাদ পড়েছে। লজিস্টিক সমস্য়া দেখিয়ে গেমস ফেডারেশন শুটিংকে বাদ দিয়েই গেমসের রোস্টার করেছে। ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট লুসি মার্টিন আবার জানিয়েছেন যে, শুটিং কখনই এই টুর্নামেন্টে বাধ্য়তামূলক ইভেন্ট ছিল না।
-->
কমনওয়েলথে বরাবরই শুটিংয়ে ভারত ভাল ফল করেছে। এটা শক্তিশালী একটা জায়গা ভারতের। কিন্তু বার্মিংহ্য়ামে শুটিং না-রাখার সিদ্ধান্ত একেবারেই ভাল চোখে দেখেনি ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। এমনকী তারা কমনওয়েলথ বয়কট করবে বলেও হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিসিসিআইয়ের পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেন ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজু
রিজিজু তাঁর চিঠিতে নিকি মর্গ্য়ানকে লিখেছেন, "আমি চাই আমনি ব্য়ক্তিগত ভাবে বিষয়টায় হস্তক্ষেপ করুন। ২০২২ বার্মিংহ্য়াম কমনওয়েলথে শুটিংয়ের অন্তর্ভুক্তি করান। আপনি হয়তো জানেন যে, ১৯৬৬ সালে কমনওয়েলথ গেমসে শুটিংকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ১৯৭৪ থেকে কমনওয়েলথে শুটিংয়ের ইভেন্ট থেকেছে। কিন্তু ফেডারেশন এবার শুটিংয়কে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ইভেন্ট কখনই কমনওয়েলথে বাধ্য়তামূলক ছিল না বলেই জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি শুটিংয়ের জন্য় কোনও ভেন্য়ুও নাকি ফাঁকা নেই। দুর্ভাগ্য়বশত এই মুহূর্তে কমনওয়েল গেমসের এক্সিকিউটিভ কাউন্সি ও কার্যকরী কমিটিতে ভারতের কোনও প্রতিনিধি নেই। ফলে শুটিংয়ের অন্তর্ভুক্তি বিষয়টা সামনে আনা যাচ্ছে না।"
-->
রিজিজু আরও লেখেন যে, "ভারতে শুটিং অত্য়ন্ত জনপ্রিয় একটা খেলা। দেশের শুটাররা আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভাল ফল করছে। বার্মিংহ্য়ামে শুটিং বাদ পড়ার খবরে একাধিক জাতীয় স্পোর্টস ফেডারেশন, কমনওয়েলথ গেমস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ক্ষুব্ধ হয়েছে। তাই আমরা অনুরোধ করছি শুটিং ফেরানো হোক।" রিজিজু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ৫৩টি দেশের ২.৪ বিলিয়ন মানুষকে নিয়েই কমনওয়েলথ গেমস। আর এর অর্ধেকের বেশিটা জুড়েই রয়েছে ভারত। ফলে কমনওয়েলথের প্রতি ভারতের সমর্থন রয়েছে। ভবিষ্য়তেও থাকবে।