কেকেআর: ১৮৭/৬ (২০ ওভার)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৭৭/৫ (২০ ওভার)
জয় দিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করল কলকাতা নাইট রাইডার্স। টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর স্কোরবোর্ডে ১৮৮ তুলেছিল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৭৭/৫ রানে থেমে গেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কলকাতার জয় এল ১০ রানে।
নীতিশ রানা এবং রাহুল ত্রিপাঠি কেকেআরকে এদিন শুরুতেই চালকের আসনে বসিয়ে দেন। ওপেনিং পার্টনারশিপে শুভমান গিলের সঙ্গে ৫৬ রান স্কোরবোর্ডে তোলার পরে দ্বিতীয় উইকেটে রাহুল ত্রিপাঠির সঙ্গে নীতিশ রানা যোগ করে যান ৯৩ রান। রানা (৫৬ বলে ৮০) এবং রাহুল ত্রিপাঠি (২৯ বলে ৫৩) দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করলেন। নীতিশ রানার আইপিএল কেরিয়ারে একডজন হাফসেঞ্চুরি হয়ে গেল রবিবারই। ৯ টা বাউন্ডারির সঙ্গে তিনটে বিশাল ছক্কাই হাঁকান তিনি।
আরো পড়ুন: ধোনির উপর খেপে লাল হয়ে যান দ্রাবিড়, পুরনো ঘটনা প্রকাশ্যে এনে হইচই শেওয়াগের
দুজনের ব্যাটে একসময় কেকেআর ২০০ রানেরও স্বপ্ন দেখছিল। তবে ১৫৭ থেকে ১৬০- ৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট খুইয়ে সমস্যায় পড়ে যায় নাইটরা। এসময় মহম্মদ নবি ক্যাপ্টেন মর্গ্যান এবং নীতিশ রানাকে পরপর দু-বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও জাগিয়ে তোলেন। শেষদিকে দীনেশ কার্তিক ৯ বলে ২২ করে দলকে ১৮৮ পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দু-ওভারেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ এবং সাকিব আল হাসান পরপর দু-ওভারে ফিরিয়ে দেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং ঋদ্ধিমান সাহাকে। সেই ধাক্কা কাটিয়ে মনীশ পান্ডে (৪৪ বলে ৬১) এবং জনি বেয়ারস্টো (৪০ বলে ৫৫) ৯২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দলকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন। হাফসেঞ্চুরি করে দুজনেই দলকে টানছিলেন। তবে প্যাট কামিন্স বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে দেওয়ার পরেই কার্যত ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায় সানরাইজার্সের। পরপর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায় ডেভিড ওয়ার্নারের দল।
কেকেআর একাদশ: শুভমান গিল, রাহুল ত্রিপাঠি, নীতিশ রানা, ইয়ন মর্গ্যান (অধিনায়ক), দিনেশ কার্তিক (উইকেটরক্ষক), আন্দ্রে রাসেল, সাকিব আল হাসান, প্যাট কামিন্স, হরভজন সিং, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, বরুণ চক্রবর্তী।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ একাদশ: ডেভিড ওয়ার্নার (অধিনায়ক), ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), মনীশ পান্ডে, জনি বেয়ারস্টো, বিজয় শঙ্কর, মোহাম্মদ নবি, আবদুল সামাদ, রশিদ খান, ভুবনেশ্বর কুমার, সন্দীপ শর্মা এবং টি নটরাজন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন