২০১২ ও ২০১৩-এ রোজভ্যালি কেকেআরের স্পনসর সংস্থা ছিল। তবে চিটফান্ড দুর্নীতির সঙ্গে কেকেআর কোনওভাবে জড়িত নয়। কেবলমাত্র স্পনসর হওয়া ছাড়া কোনও আর্থিক লেনদেনও হয়নি কেকেআরের সঙ্গে। ওই দু-বছরে রোজভ্যালি কেবল কেকেআরের জার্সির স্পনসর ছিল। রোজভ্যালি কাণ্ডে নাইট বাহিনীর নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরে এমন ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া জানাল কেকেআর।
সোমবারেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে কেকেআরের ৭০ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, চিটফান্ড সংস্থার থেকে হিসেব বহির্ভূতভাবে টাকা নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনে কেকেআরের পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেন্ট জেভিয়ার্স-এর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও।
তবে কেকেআরের তরফে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
বুধবার কেকেআরের তরফে সিইও ভেঙ্কি মাইশোর জানান, "আইপিএলেরল ২০১২ ও ২০১৩ সালে কেকেআরের আইপিএল জার্সির অন্যতম স্পনসর ছিল রোজভ্যালি হোটেলস। রোজভ্যালির তরফে জার্সি স্পনসর হওয়ার জন্য কেকেআরকে ১১.৮৭ কোটি টাকা স্পনসরশিপ বাবদ অর্থও দেওয়া হয়েছে। এই বাদে কেকেআরের সঙ্গে রোজভ্যালির অন্য কোনও আর্থিক লেনদেনের যেমন ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবসার সঙ্গেও কোনও সম্পর্ক ছিল না।"
সেই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে নাইট রাইডার্স স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড ইডির তরফে সাক্ষী হওয়ার সমন পায়। রোজ ভ্যালি গ্রুপের বিরুদ্ধে চলতি তদন্তের প্রক্রিয়ার সূত্রেই এই সমন। মাইশোর কেকেআরের বিবৃতিতে আরও বলেছেন, "ইডি রোজভ্যালি সংস্থার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। কেকেআর সমস্ত রকমভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এই তদন্তে সহযোগিতা করবে।"
কলকাতা নাইট রাইডার্স স্পোর্টস প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থায় ডিরেক্টর পাঁচজন- শাহরুখ খানের স্ত্রী গৌরি খান, অভিনেত্রী জুহি চাওলার স্বামী জয় মেটা, ভেঙ্কি মাইশোর এবং আরও দু-জন।
গত বছর অক্টোবরেই ইডি-র কলকাতা অফিসে জেরা করা হয়েছিল ভেঙ্কি মাইশোরকে।
Read the full article in ENGLISH
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
https://t.me/iebangla