আইপিএল শুরুর পর বাংলার বহু ক্রিকেটার কেকেআরের জার্সিতে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় তো বটেই মনোজ তিওয়ারি, ঋদ্ধিমান সাহা, শ্রীবৎস গোস্বামী, দেবব্রত দাস, মহম্মদ শামিদের দেখা গিয়েছে নাইট রাইডার্সের জার্সিতে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে স্থানীয় প্রতিভাদের ছাড়াই দল গঠন করেছে কেকেআর। এই নিয়ে বেশ আলোচনাও শুরু হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট মহলে।
এই বিষয়েই এবার মুখ খুললেন গুজরাট টাইটান্সের তারকা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি সরাসরি জানিয়ে দিলেন, কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট এবং স্কাউট হয়ত বাংলার তারকাদের ওর সেরকম আস্থা রাখে না।
আরও পড়ুন: রক্তে ভাসাতে চেয়েছিলেন শচীনকে! মুখ ফস্কে শোয়েব জানালেন ভয়ঙ্কর গোপন ইচ্ছা
স্পোর্টসক্রীড়ায় ঋদ্ধিমান সাহা জানিয়েছেন, "দেখতে হবে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট এবং স্কাউট টিমের বাংলার প্লেয়ারদের ওপর পর্যাপ্ত ভরসা রয়েছে কিনা। হয়ত বাংলার ক্রিকেটারদের দক্ষতার ওপর ওঁদের যথেষ্ট বিশ্বাস নেই।"
ব্যক্তিগত স্তরে ঋদ্ধিমান বর্তমানে যথেষ্ট বিতর্কের মুখে। গত বছর কানপুর টেস্টে দুরন্ত ৬১ করে দলকে বিপদের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় টেস্ট দলে থেকে বাদ পড়েছেন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে হোম সিরিজ থেকেই তিনি জাতীয় দলের বাইরে। এছাড়া বাংলার ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করেও তিনি যথেষ্ট আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
তবে এমন বিতর্কের মধ্যেই ঋদ্ধিমান সকলকে জবাব দিয়েছেন গুজরাট টাইটান্সের জার্সিতে দুরন্ত খেলে। ১১ ম্যাচে ৩১৭ রান করেছেন। ৩১.৭০ গড়ে। শুভমান গিলের সঙ্গে চ্যাম্পিয়ন গুজরাটকে ভরসা দিয়েছেন ওপেনিংয়ে। পাওয়ার প্লে-তে প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই দলকে দারুণ গোড়াপত্তন উপহার দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হরভজনকে সুযোগ না দিলে নেতৃত্ব হারাতেন সৌরভ! বিষ্ফোরক বয়ানে একী বললেন ভাজ্জি
"প্রত্যেকেই বলছিল গুজরাট বাতিল অবিক্রিত তারকাদের দলে নিয়েছে। এখন আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রমাণ করলাম। তবে কাউকে কোনও কিছু প্রমাণের দায় ছিল না আমাদের। এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই ছিল। ম্যাচ ধরে ধরে হিসাব করে আমরা পুরো বিষয় সহজে নিই। তবে সকলেরই নিজস্ব মতামত থাকতে পারে। সেই বিষয় আমরা শ্রদ্ধা করি।" বলেছেন ঋদ্ধিমান।
সম্প্রতি আন্তঃস্কুল টুর্নামেন্ট মেয়র্স কাপের ফাইনালে ইডেন গার্ডেন্সে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক ডালমিয়া। সেখানেই তিনি নিজের মতামত প্রকাশ করে বলেন, কেকেআরে আরও বেশি বাংলার ক্রিকেটাররা খেলুক, এমনটাই চাইছে সিএবি।
অভিষেক ডালমিয়ার বক্তব্য ছিল, “কেকেআরে আরও বেশি বাংলার ক্রিকেটার থাকলে ভালো লাগবে। বিসিসিআইয়েও আইপিএলের এই প্রসঙ্গ এনেছিলাম।”