ক্রিকেটারদের উৎসাহ দিতে বরাবর মাঠে থাকেন। আর দুঃসময়ে পাশে থাকবেন না, তা কখনো হয়! সেই কারণেই তো শাহরুখ খান বাদশা! করোনাকালে খেলায় এবার মাঠে দেখা যায়নি কিং খানকে। তবে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় নিয়মিত ক্রিকেটারদের ভরসা জুগিয়েছেন, খোঁজ খবর রেখেছেন।
এমন খবরই এবার শেয়ার করলেন করোনায় আক্রান্ত নাইটদের রহস্য স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী। ইএসপিএন ক্রিকইনফো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বরুণ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজির সবসময় আমাদের পাশে থেকেছে। আইপিএল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও এমনকি ওঁরা দলের সাপোর্ট স্টাফদের আমার শুশ্রূষা করার জন্য রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আমি দু-বার নেগেটিভ হওয়ার পরই ওঁরা বাড়ি ফিরে গিয়েছে। এমনকি শাহরুখ খান দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন, খোঁজখবর নিতেন।"
আরো পড়ুন: যোগ্যতা থাকলেও সুযোগ পাননি! প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে বিস্ফোরণ যুবরাজের
কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন বরুণ চক্রবর্তী। তবে অনুশীলন করার মত অবস্থায় নেই। কোভিড গেলেও রেখে গিয়েছে দুর্বল ভাব। আইপিএলের প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে কোভিড আক্রান্ত হন বরুণ চক্রবর্তী। তাঁর কিছুদিনের মধ্যেই আইপিএল স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলতি মাসের ১১ তারিখেই জোড়া নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন তারকা স্পিনার। আপাতত চেন্নাইয়ে বাড়িতে পুরোপুরি বিশ্রামে রয়েছেন তিনি।
বরুণ জানিয়েছেন, "আপাতত বাড়িতেই বিশ্রামে রয়েছি। করোনা পরবর্তী উপসর্গ এখনো রয়ে গিয়েছে। জ্বর কিংবা কাশি না থাকলেও, দুর্বলভাব রয়েই গিয়েছে। তাই এখনও অনুশীলন শুরু করিনি। স্বাদ-গন্ধের অনুভূতিও পুরোপুরি ফেরত আসেনি।"
মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে চক্রবর্তীর এখন বাকি খেলোয়াড়দের টিপস, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরেও টানা দু-সপ্তাহ শরীরকে বিশ্রাম দিতেই হবে। "এমনকি সেরে উঠলেও মাস্ক ব্যবহার করা উচিত প্রত্যেকের, যাতে আশেপাশের ব্যক্তিরা নিরাপদ থাকে।"
মে মাসের ১ তারিখে করোনা আক্রান্ত হন বরুণ চক্রবর্তী। অনুশীলনের পরেই ক্লান্তি অনুভব করছিলেন। সেই ভয়াবহ স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বরুণ চক্রবর্তী বলছিলেন, "১ মে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছিল। দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলাম। যদিও সেই সময় কাশি ছিল না। তবে হালকা হালকা জ্বরের অনুভূতি ছিল। তাই আমি অনুশীলনে আসিনি। শারীরিক অবস্থার কথা টিম ম্যানেজমেন্টকে জানানোর পর দ্রুত আরটিপিসিআর টেস্টের আয়োজন করা হয়। সঙ্গেসঙ্গেই আমাকে হোটেলের আলাদা রুমে আলাদা করে দেওয়া হয় বাকি নাইট সতীর্থদের থেকে। তারপরেই করোনা টেস্টে পজিটিভ ধরা পড়ি। অদ্ভুত এক চিন্তা ভাবনার জন্ম হয়েছিল সেই সময়। শুধু আমার জন্যই নয়, দেশের অন্যত্র কী হচ্ছিল সমস্ত দুশ্চিন্তা যেন আমাকে চেপে ধরছিল।"
আইসোলেশনে থাকার সময় নেটফ্লিক্স, আমাজনের মত ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সময় কাটিয়েছেন। আর রিকভারির পরে পুরোপুরি স্বস্তি মিলেছে। তারকা স্পিনার বলছিলেন, "আমি সুস্থ হয়ে আপাতত চিন্তামুক্ত। তবে কতজন প্রাণ হারাচ্ছেন, এটা দেখাটা বেশ কষ্টকর। এই কঠিন সময়ে সঠিক পরিচর্যা পাওয়ার সময় বুঝতে পেরেছি আমি কত সৌভাগ্যবান। সমস্ত কিছুর জন্যই আমি কৃতজ্ঞ। প্রত্যেকেই যাতে সুস্থ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যান, সেই প্রার্থনাই করছি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন