Rajasthan Royals vs Kolkata Knight Riders Live Score: আজকের রাজস্থান রয়্যালস বনাম কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচে যে শাহরুখের টিমই ফেভারিট, সেটা আগেই জানা ছিল। কিন্তু ম্যাচের ফলাফল যে এতটা একপেশে হবে, তা কল্পনাও করা যায় নি। এতটাই, যে এই টুর্নামেন্টে বোলারদের ত্রাস আন্দ্রে রাসেলকে ক্রিজে পা-ই রাখতে হলো না। যেন তাঁরই ছোঁয়া পেয়ে তাঁরই ঘরানার অনুকরণে ব্যাট করে প্রথম ছয় ওভারেই ম্যাচ বের করে নিয়ে গেলেন ক্রিস লিন এবং সুনীল নারিন।
আগেই লিখেছিলাম, কেকেআর-কে টেক্কা দিতে হলে প্রয়োজন হবে স্রেফ ব্যক্তির নয়, ব্যাটে-বলে দলগত উৎকর্ষের। কোথায় কী! এ যেন সম্পূর্ণ আলাদা দুটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখল জয়পুর। প্রথম ইনিংসে রাজস্থানের কেঁদে-কঁকিয়ে ১৩৯, যখন মনে হলো পিচে না জানি কী জুজু লুকিয়ে আছে। দ্বিতীয় ইনিংসে অবলীলায় তুলে তুলে চার ছয় লিন-নারিনের, সেই একই ঢিমে গতির পিচকে নস্যাৎ করে দিয়ে। ফলাফল - ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ করল রাহানের রাজস্থান।
Live IPL 2019: KKR vs RR Score Updates
Live Blog
IPL 2019 KKR vs RR Live Cricket Score Updates
চার ওভারের শেষে স্কোর ২৩-১। শেষ ওভারে বাটলারের দু দুটো বাউন্ডারি সমেত। সবাই রাসেল রাসেল করছেন বটে, কিন্তু জস বাটলারের ব্যাটিং যে ফেলনা নয় একেবারেই, সেকথা ভুললে কিন্তু চলবে না, সে আপনি কেকেআর প্লেয়ার হন বা সমর্থক। তাঁকে আগেভাগে আউট করতে পারলে যে রাজস্থানের শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়া অনেকটাই সহজ হয়ে যায়, সেকথা এখন আর কারোর জানতে বাকি নেই।
The players have arrived at the ground!
There is a sand storm brewing in Jaipur, but forecast suggests it would pass soon! 🤞🏼#RRvKKR #VIVOIPL #KKRHaiTaiyaar pic.twitter.com/pwWtf8SSMU
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 7, 2019
টস শেষ, জিতে প্রত্যাশা মতোই ফিল্ডিং নিল কেকেআর। কাজেই 'রাসেল শো' দেখতে হলে দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। রাসেল বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ওই ১৩ বলে ৪৮-এর পর বলেছেন, "কোন মাঠই আমার জন্য বড় নয়। আমি জানি, আমি 'স্পেশ্যাল'।" স্পেশ্যাল তো বটেই! সাধে কী আর ক্রিকেটগোলার্ধ রাসেল-বন্দনায় গদগদ, সাধে কী আর শাহরুখ খান রাসেলকে 'বাহুবলী' আখ্যা দিয়ে টুইট করেছেন! কোন ছকে আজ রাসেলকে আটকাবে রাজস্থান? প্ল্যান তো একটা থাকবেই। কী সেই প্ল্যান?
রাতের ম্যাচে শিশির-ফ্যাক্টরের জন্য টস জিতলে চোখ বুজে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেবে যে কোনও টিম , এটা সবার জানা। রাহানের কাছে টস জেতাটা বেশি জরুরি, কারণ, অতীত পরিসংখ্যান সাক্ষী, 'চেজিং সাইড' হিসেবে কেকেআর চিরদিনই ভয়ঙ্কর। তার উপর রাসেল আছেন এই অলৌকিক ফর্মে। কোন টার্গেটই নিরাপদ নয়। তিন ওভারে ষাট দরকার হলেও দ্রে রাস তুলে দিতে পারেন যখন তখন। রাহানে তো চাইবেনই, আগে কেকেআর ব্যাট করে নিক, তারপর অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা।
কুলদীপ-নারিন-পীযুষের স্পিন আক্রমণ যে আইপিএলে সেরা, সে নিয়ে তর্কের জায়গা নেই। কিন্তু পেস? প্রসিধ কৃষ্ণ বা লকি ফার্গুসনের ইকোনমি রেট এ যাবৎ দশের উপরে, যা নিশ্চিতভাবে চিন্তায় রেখেছে কেকেআর-এর থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে। ফার্গুসনের জায়গায় আজ প্রথম এগারোয় জায়গা পাবেন অন্য বিদেশি পেসার হ্যারি গার্নি?
বাংলা হিসেব, নাইটদের থামাতে হলে রাসেলকে থামাতে হবে রাজস্থানকে। পাঁচ বলে পঁচিশ চাই? দশ বলে পঁয়তাল্লিশ? কিংবা পনেরো বলে পঞ্চান্ন? রাসেল ক্রিজে থাকলে সব সম্ভব, সাক্ষী এবারের আইপিএল। রাসেল-তাণ্ডব স্তব্ধ করে দিয়েছে ক্রিকেটবিশ্বকে। চলতি আইপিএল-এ ডেথ ওভারে ৫৪ বলে করেছেন ১৭০ রান। স্ট্রাইক রেট ৩১৪.৮১! এখনও পর্যন্ত চারটে ম্যাচে বাইশটা ছক্কা, বারোটা চার! দ্রে রাস-কে থামাতে না পারলে আজ রাজস্থানে রক্তপাত অবধারিত।
স্টিভ স্মিথের কাছেও আজ চ্যালেঞ্জ, চ্যালেঞ্জ প্রমাণ করার, এক বছর নির্বাসনের পর ফিরে যে মারমার-কাটকাট ফর্মে শুরু করেছেন ডেভিড ওয়ার্নার, সেটা তিনিও পারেন। স্মিথ সম্পূর্ণ ব্যর্থ, বলা যাবে না। রান পেয়েছেন। তবে সেটা ম্যাচ-জেতানো ইনিংস হয়ে ওঠেনি। তিনি স্টিভ স্মিথ, দুনিয়ার অন্যতম সেরা ব্যাট। টিম তো তাঁর থেকে ৩০-৪০ নয়, চাইবে ম্যাচ উইনিং নক। আজ পারবেন স্মিথ?
Muscling it since 2⃣0⃣1⃣5⃣ 👊😎@Russell12A #RRvKKR #VIVOIPL #KKRHaiTaiyaar pic.twitter.com/08yfpVaMea
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 7, 2019
কেকেআর নিয়ে একটাই চিন্তার জায়গা। রোজ কি রাসেল জেতাবেন অতিমানবিক ব্যাটিংয়ে? যাতে ঢাকা পড়ে যাবে টিমের অন্য খুচরো দুর্বলতার জায়গাগুলো? যে তিনটে জিতেছে নাইটরা, প্রত্যেকটায় হারতে পারত দ্রে রাস মোক্ষম সময়ে পরিত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ না হলে। ক্রিকেটে 'ল অফ অ্যাভারেজ' বলে একটা কথা আছে। যেদিন রাসেল তাতে আক্রান্ত হবেন, ব্যাট চলবে না আসুরিক শক্তিতে, সেদিন কী হবে?
আজ পিঙ্ক সিটির তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির কাছাকাছি থাকবে। রাতের দিকে তাপমাত্রা কিছুটা হলেও কমতে পারে। সেক্ষেত্রে শিশির একটা বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। এটা মোটামুটি পরিস্কার যে, টস জিতে ক্য়াপ্টেন বল করারই সিদ্ধান্ত নেবেন।
চলতি আইপিএল-এর এখন পর্যন্ত সবচেয়ে একপেশে ম্যাচ দেখা গেল জয়পুরে। হাসতে হাসতে জিতল কেকেআর, ঘরের মাঠে অসহায় আত্মসমর্পণ করল রাজস্থান। ১৪ ওভারের মধ্যে যে ইনিংস শেষ হয়ে যায়, স্রেফ দুই উইকেটের বিনিময়ে, সেই ম্যাচ নিয়ে বিশেষ কিছু লেখার থাকে না। কে কত বলে কত রান করলেন, সেসব লেখাও বৃথা। শুধু একটাই কথা বলার। ম্যচ জেতানো এক রান এলো কোনও ব্যাট থেকে নয়, ওয়াইডের মাধ্যমে। রাজস্থানের বোলিং কেমন ছিল, এই বলটি সেই প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর।
লিন আউট! ৩২ বলে ৫০ করে ফিরছেন, টিমকে জয়ের রাস্তায় পৌঁছে দিয়ে। সুইপ করতে গিয়ে স্কোয়ার লেগে ক্যাচ। এই আউটে কিছু এসে যায় না আর, ম্যাচের ভাগ্য তো পাওয়ার প্লে-তেই নির্ধারিত হয়ে গেছে। এখন যা চলছে, সেটা রাহানের টিমের ক্রিকেটীয় শেষকৃত্য। জিততে নাইটদের দরকার আর ২৪।
নিয়মরক্ষার খেলা চলছে। খেলা নয়, আসলে ছেলেখেলা! বন্যা বইছে চার-ছয়ের, আট ওভারে ৮৪-০। রাজস্থানকে রীতিমতো দুমড়ে মুচড়ে টুর্নামেন্টে চতুর্থ জয়ের পথে কেকেআর। বলতে বলতেই নারিন আউট! শ্রেয়স গোপালের বলে স্লিপে খোঁচা দিয়ে ফেরার আগে করে গেলেন ২৫ বলে ৪৭! ওপেনারের থেকে আর কী-ই বা চাইতে পারেন কোনও ক্যাপ্টেন? দশ ওভার হয়ে গেল, নাইটরা ১০৫-১, হেলাফেলার জয় আর মাত্র ৩৫ রান দূরে। মাঠ খালি হচ্ছে দ্রুত।
২৫ বলে ৫০ পেরিয়ে গেল নাইটরা! ধুন্ধুমার ব্যাটিং প্রথম বল থেকেই। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই যদি ষাট উঠে যায়, আর টার্গেট হয় ১৪০, ম্যাচের কঙ্কালটাই শুধু পড়ে থাকে। পাঁচ ওভারে ৫৪, রাজস্থান হারতে চলেছে। আর কলকাতা জিততে।
কুলকার্নির বলে স্টাম্পে লেগেও বেল পড়ল না লিনের! উল্টে কিপারের হাত এড়িয়ে বাই চার রান হলো। চার ওভার শেষ, নাইটরা ঝড়ের গতিতে ৪৬-০। এই ম্যাচ কুড়ি ওভার পর্যন্ত গড়াবে না, নিশ্চিন্তে বাজি ধরতে পারেন এখন। মাত্র ৯৪ দরকার আর।
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে রান তাড়া শুরু করেছে নাইটদের ওপেনিং জুটি, কুলকার্নির প্রথম ওভারেই লিনের জোড়া বাউন্ডারি। দ্বিতীয় ওভারে কৃষ্ণাপ্পা গৌতমকে তুলোধোনা করলেন নারিন চার-ছক্কায়! দু ওভারে ৩২! রানের মধ্যবিত্ত পুঁজি নিয়ে শক্তিধর নাইটদের চাপে ফেলা দুঃসাধ্য। শেষ হাসি আজও কলকাতার, দেওয়াল লিখন স্পষ্ট শুরুতেই।
রাজস্থান শেষ করল ১৩৯-৩ এ। স্মিথ একাই টানলেন খোঁড়াতে থাকা ইনিংসকে, করলেন ৫৯ বলে ৭৩। এটা পৌনে দুশোর উইকেট নয় তা যেমন ঠিক ,পাশাপাশি এটাও মানতে হবে যে অত্যন্ত ডিসিপ্লিনড বোলিং করেছে আজ নাইটরা। এবং কার্তিকের টিমের যা ব্যাটিং শক্তি, পাল্লা আপাতত কলকাতার দিকেই ঝুঁকে। ফিরছি একটু পরেই, নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের হাল হকিকত।
দেড়শো হওয়া এখন বেশ কঠিনই দেখাচ্ছে। বাকি আর মাত্র দু'ওভার, স্কোরবোর্ডে ১১৯-৩। চার-ছয় চাই একাধিক পরের বারো বলে। নাহলে ১৩৫-৪০ এ আটকে যাবে রান, যেটা এই স্লো পিচেও নাইটদের হারানোর জন্য যথেষ্ট কি?
আউট! রাহুল ত্রিপাঠি আউট তুলে মারতে গিয়ে। ব্যাটে-বলে হল না আদৌ, শর্ট মিড অফে লোপ্পা ক্যাচ। দ্বিতীয় উইকেট হ্যারি গার্নির, যিনি লকি ফার্গুসনের জায়গায় এসে চমৎকার বোলিং করছেন। গতি বেশি নয়, কিন্তু বুদ্ধি করে জায়গায় বল রাখতে জানেন। ১৬ ওভারে ১০৬-৩।
পঞ্চাশ হয়ে গেল স্মিথের, ৪৪ বলে। পরিণত ইনিংস, পিচের চরিত্র বুঝে। ১৫ ওভারে ১০৩-২। এখন স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউট। শেষ পাঁচ ওভারে অন্তত পঞ্চাশ-ষাট তুলতে চাইবে রাহানের টিম। রাজস্থান তাকিয়ে স্মিথের দিকে।
চোদ্দ ওভার শেষ, বাকি আর ৩৬ বল। রাজস্থান ৯১-২। ক্রিজে স্মিথের সঙ্গে রাহুল ত্রিপাঠি। যাঁদের উপর দায়িত্ব স্কোরকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার। বিগ হিটের রাস্তায় যেতেই হবে এবার। সেট হয়ে যাওয়া স্মিথ কখন খোলস ছাড়বেন?
আউট! বাটলার আউট! আবার লিখি, এই পিচ ভুরি ভুরি রানের নয়। কোনও কোন বল বেয়াড়া লাফাচ্ছে, কোনওটা হঠাৎ থমকাচ্ছে। 'এলাম, দেখলাম আর পিটিয়ে ছাতু করে দিলাম' ব্যাটিং এখানে মুশকিল। বারো ওভার হয়ে গেল, রান ৭৮ -২। হ্যারি গার্নিকে ছক্কা হাঁকালেন বাটলার, এবং পরের বলে ফের ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ! দেড়শো হবে?