কেকেআরের জার্সিতে দুবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন তিনি। সেই রায়ান টেন দুশখাতে এবার অবসর নিচ্ছেন টি২০ বিশ্বকাপের পরেই। নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হয়েছে ৪১ বছরের তারকাকে। দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলেই অবসর নেবেন তারকা।
২০০৬ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে রায়ান টেন দুশখাতের। তারও আগে ২০০৩-এ এসেক্সের হয়ে অভিষেক কাউন্টিতে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রি সিজন ট্যুরে কোচ গ্রাহাম গুচকে প্রভাবিত করেছিলেন। তারপরে ১৯ মরশুম টানা এসেক্সের হয়ে খেলেছেন ডাচ তারকা।
আরও পড়ুন: কোহলিদের কাণ্ডে ক্ষেপে লাল ইংল্যান্ড! IPL-এ সৌরভদের বড় ধাক্কা দিতে প্রস্তুত বেয়ারস্টোরাও
সব ফরম্যাট মিলিয়ে ৫৫৪টা ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তাঁর নামের পাশে ১৭,০৪৬ রান, ৩৪৮ উইকেট। নিজের অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে রায়ান টেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, "ক্লাবে থাকার সময় যাদের সংস্রবে এসেছি, তাঁদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ। এমন পেশাদারি পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া বড় অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে। গর্বের বিষয় হয়ে থাকবে আমার কাছে।"
২০০৫ এবং ২০০৬-এ টটেসস্পোর্টস লিগ জেতেন দেশের জার্সিতে। ২০০৬-এ কানাডার বিরুদ্ধে ২৫৯ করেন। সেটাই তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর।
২০০৮-এ আইসিসির সেরা সহযোগী দেশের ক্রিকেটার নির্বাচিত হন। ২০১৬-এ সাসেক্সের ক্যাপ্টেন ঘোষণা করা হয় তাঁকে। দ্বিতীয় ডিভিশনের খেতাব জিতে প্রথম সারির ঘরোয়া ক্রিকেটে এসেক্স প্রত্যাবর্তন করে রায়ান টেনের নেতৃত্বে। তারপর ২৫ বছর খেতাবের খরা কাটিয়ে রায়ান টেন কাউন্টিতে চ্যাম্পিয়ন করেন এসেক্সকে। দু বছর পরে একইভাবে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের খেতাব যেতে এসেক্স।
আরও পড়ুন: ম্যাঞ্চেস্টার কেলেঙ্কারিতে ভিলেন শাস্ত্রী-কোহলি! ক্ষোভে ফুঁসছে সৌরভের বোর্ড
২০১৯-এ এসেক্সে নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। তবে ক্রিকেটার হিসাবে যথারীতি আলো জ্বালিয়ে ২০২০-র বব উইলিস ট্রফি জিততে সাহায্য করেন দলকে।
নিজের অবসরের বিবৃতিতে রায়ান টেন আরও বলেছেন, "কেপ টাউন থেকে এসে নিজের স্বপ্নপূরণ- মনে হয় কয়েক লক্ষ বছর আগের কথা। আমার সবথেকে বড় কৃতিত্ব হল, বাড়ি থেকে দূরে নতুন একটা বাড়ি বানিয়ে নেওয়া।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন