Advertisment

IPL থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার মুখে রশিদ-রাহুল! বেনজির খবরে তোলপাড় দুনিয়া

আইপিএলে দল বদলের বাজারে রশিদ খান এবং কেএল রাহুলকে প্রস্তাব দিয়ে বিপাকে লখনৌ ফ্র্যাঞ্চাইজি। বোর্ডের কাছে গেল অভিযোগও।

author-image
IE Bangla Sports Desk
New Update
NULL

৩০ নভেম্বর প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি কোন ক্রিকেটারদের রিটেন করছে তা জানানোর শেষ দিন। এর মধ্যেই বড়সড় খবর আইপিএলে অংশগ্রহণ করা থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে কেএল রাহুল, রশিদ খানকে। এমনটাই খবর ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদনে।

Advertisment

নিলামে রিটেনশন লিস্ট জমা দেওয়ার আগেই লখনৌ ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রশিদ খান এবং পাঞ্জাব কিংসের কেএল রাহুলের সঙ্গে। বড়সড় অঙ্কের প্রস্তাব দেওয়াও হয়। এতে ক্রিকেটাররা দল ছাড়ার সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হতে পারে। এমন নীতিবিরুদ্ধ ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পরই পাঞ্জাব কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদের তরফে সরাসরি অভিযোগ জানানো হয় বোর্ডের কাছে।

আরও পড়ুন: ২০ কোটি! রাহুলকে পেতে আকাশছোঁয়া দর দিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজি, তাজ্জব সবাই

নিলামের আগে তিনজন করে ক্রিকেটারকে সই করাতে পারবে দুই নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি- লখনৌ এবং আহমেদাবাদ। তবে নিয়ম অনুযায়ী, সরকারিভাবে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজির রিটেনশন তালিকা বোর্ডের তরফে প্রকাশ পাওয়ার পরই একমাত্র রিলিজ করা ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে লখনৌ এবং আহমেদাবাদ।

তবে সেই তালিকা প্রকাশ করার আগেই বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে লখনৌয়ের তরফে। এমনটাই অভিযোগ। স্রেফ যোগাযোগ করাই নয়, বড়সড় আর্থিক চুক্তির প্রলোভন দেখিয়ে দল ছাড়ার জন্য চাপ-ও নাকি দেওয়া হচ্ছে রশিদ খান, কেএল রাহুলদের।

বোর্ডের কাছে এমন অভিযোগ জমা পড়ার পরেই খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুরো বিষয়টি। অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হলে, পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। বোর্ডের এক কর্তা ইনসাইড স্পোর্টস-কে জানিয়েছেন, "লিখিতভাবে কোনও অভিযোগ আসেনি। তবে মৌখিকভাবে লখনৌ ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটার-শিকার করার অভিযোগ জানানো হয়েছে। গোটা ঘটনা বোর্ডের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ সত্যি, এমন প্রমাণ পাওয়া গেলে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

আরও পড়ুন: সানরাইজার্সের সঙ্গে রশিদ খানের মন কষাকষি তুঙ্গে, দল ছাড়ার মুখে সুপারস্টার

সেই কর্তা আরও বলেছেন, "কোনও দলের ভারসাম্য বিনষ্ট করা উচিত নয়। তবে তীব্র প্রতিযোগিতার সময়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে বর্তমান দলের ভারসাম্য বিনষ্ট হোক, এমন পদক্ষেপ মানা হবে না।"

একাধিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, লখনৌ ফ্র্যাঞ্চাইজি তরফে কেএল রাহুলকে ২০ কোটি এবং রশিদ খানকে ১৬ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। দুজনেই দল ছাড়লে যে বড়সড় অঙ্কের বেতন পাবেন, সেই প্রলোভন দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আবার রশিদ খানকে দ্বিতীয় রিটেনশন করে ১২ কোটির বেশি দিতে রাজি নয়। তবে রশিদ খানের কাছে বড় অফার থাকায় তিনি দল ছাড়ার বিষয়েও কার্যত মনস্থির করে ফেলেছেন।

আইপিএলে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির ক্রিকেটারকে আর্থিক লোভ দেখানোর দৃষ্টান্ত অবশ্য এবারই প্ৰথম নয়। এর আগে ২০১০-এ রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে চুক্তি নবীকরন না করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সঙ্গে দর কষাকষি শুরু করেছিল। সেই সময়ে তারকা অলরাউন্ডারকে একবছরের জন্য আইপিএলে নিষিদ্ধ করে হয়। এবারেও রশিদ খানদের ভাগ্যে তেমন কিছু অপেক্ষা করে রয়েছে কিনা, সময়ই বলবে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

IPL Kings XI Punjab KL Rahul BCCI Rashid Khan
Advertisment