ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে ব্যাট হাতে মোটেও আস্থা জোগাতে পারেননি লোকেশ রাহুল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লোকেশ রাহুলের বদলেই প্রথম একাদশে ফেরানো হতে পারে, এমন ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক এমএস প্রসাদ। পরের মাসেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজ। সেখানেই এবার রোহিত শর্মাকে প্রথম একাদশে জায়গা ফেরত পান কিনা, তাই নিয়েই সম্ভবত নির্বাচনী সভায় ঝড় উঠবে।
বৃহস্পতিবারেই নির্বাচকরা বৈঠকে বসছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে দল নির্বাচনের জন্য। সেখানে প্রধান আলোচনাই হবে রোহিতকে নিয়ে। মিডল অর্ডারে অজিঙ্কা রাহানে এবং হনুমা বিহারী ফর্মে থাকায় আপাতত ব্য়াটিং অর্ডারের মাঝের স্লটে কোনওভাবেই রোহিত শর্মাকে ফেরানো সম্ভব নয়। ৩ ও ৪ নম্বরে বিরাট কোহলি ও চেতেশ্বর পূজারা অটোমেটিক চয়েস। সেক্ষেত্রে ওপেনিংয়ে রোহিতকে রাহুলের জায়গায় খেলানোর সম্ভবনা রয়েছে।
রোহিতের পাশাপাশি টেস্টের স্কোয়াডে জায়গা পেতে পারেন বাংলার তারকা ক্রিকেটার অভিমন্যু ঈশ্বরণও। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফর্ম করে চলেছেন তিনি। তবে লোকেশ রাহুলকে পুরোপুরি বাদ দিলে এবং রিজার্ভ ওপেনার স্কোয়াডে রাখলে অভিমন্যুর ভাল সম্ভবনা রয়েছে। রিজার্ভ ওপেনারের কোটায় অভিমন্যুর সঙ্গে অবশ্য দৌড়ে রয়েছেন প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চাল ও শুভমান গিল।
প্রথম থেকেই টিম ম্যানেজমেন্টের ফেভারিট লোকেশ রাহুল। তবে ৩০ টেস্টে রাহুলের ব্যাট হাতে অবদান মাত্র ৬৬৪ রান। এর মধ্যে বলার মতো রান কেবল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে গত বছরে ১৪৯ রান। তারপর বাকি ইনিংসের অধিকাংশ ক্ষেত্রে দলকে হতাশ করেছেন তিনি। অন্য ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালের জায়গা পাকা হওয়ায় লোকেশকেই এবার গিলোটিনে চড়ানো হতে পারে।
ব্য়াটিংয়ে কেবল ওপেনার স্লটেই বদল ঘটতে পারে। বোলিংয়ে আনফিট ভুবনেশ্বর কুমারকে সম্ভবত বসানো হতে পারে। বদলে নেওয়া হতে পারে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে। ব্য়াক আপ পেসার হিসেবে নভদীপ সাইনির আগমন ঘটতে পারে টেস্ট স্কোয়াডে। স্পিনারদের কোটায় রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্থান পাকা। পেসার হিসেবে থাকছেন মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরা এবং ইশান্ত শর্মা।
১৩ মাস পরেই টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে হার্দিক পাণ্ডিয়া শুধুমাত্র সীমিতওভারের ক্রিকেটে খেলানো হয় কিনা, তা-ও স্পষ্ট হয়ে যাবে নির্বাচনে।