লোকেশ রাহুলকে একজন ব্যাটসম্যান হিসাবেই গড়ে তোলা হোক। উইকেটকিপিংয়ের বাড়তি বোঝা না চাপানোই ভালো। এমনটাই বলে দিয়ে মহম্মদ কাইফ সাফ জানাচ্ছেন, আইপিএলে ফর্ম দেখার কথা বিবেচনা না করে ধোনিকে বিশ্বকাপগামী দলে রাখা হোক।
এএনআই-কে জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা জানাচ্ছেন, "অনেকেই ভাবছেন কেএল রাহুল ভবিষ্যতে আমাদের একনম্বর কিপার-ব্যাটসম্যান হবে। তবে আমার মনে হয় রাহুলকে ব্যাক আপ কিপার হিসাবে রাখা উচিত। যদি দলের প্রধান কিপার চোট পায় তখন রাহুলকে পরিবর্ত কিপার হিসাবে খেলানো হোক। কারণ জোড়া দায়িত্ব পালন করলে ওয়ারকলোড বাড়বে। তখন ইনজুরির কবলে পড়তে পারে।"
জাতীয় দলের প্রধান উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান কে হতে পারেন, এমন প্রশ্ন ভেসে আসতেই কাইফ সাফ জানাচ্ছেন ধোনির নাম। তাঁর বক্তব্য, "অনেকেই ভাবছেন আইপিএলের ফর্ম দেখে ধোনিকে বিশ্বকাপের জন্য ভাবা হোক। আমার মতামত কিন্তু আলাদা। আমি কখনই ধোনিকে আইপিএলের ফর্মের কথা ভেবে বিচার করব না। ধোনি দারুন একজন ব্যাটসম্যান। এখন পুরোপুরি ফিটও। ধোনি আইপিএলে খেলতে চায়। অধিনায়কত্ব করবে। নিজের গ্রহণ যোগ্যতার কথা ও জানাচ্ছে। ও সবসময় জিততে চায়। চাপের মুখে কীভাবে জিততে হয় সেটা ওঁর থেকে আর কে ভালো জানে!"
ধোনি জাতীয় দলের জার্সিতে প্রায় এক বছর খেলেননি। একাধিকবার অবসরের কথা উঠলেও ধোনি সেপথে হাঁটেননি। দেশ ও বিদেশের মাটিতে পরপর সিরিজে অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে ৬মাস না খেলায় কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও বাদ পড়েছেন তিনি। নির্বাচকরা একাধিকবার ভবিষ্যতের কথা বললেও ধোনি জাতীয় দলে ফিরতে চান। আইপিএলে পারফর্ম করেই ফের টিম ইন্ডিয়ায় ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপে খেলার মানসিক প্রস্তুতিও সারা ছিল।
তবে এর মধ্যেই করোনা পরিস্থিতিতে আইপিএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশ্বে প্রতিদিনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যেই ১ লক্ষের কাছাকাছি লোক মারা গিয়েছেন এই ভাইরাসের কবলে পড়ে। প্রায় ১.৫ মিলিয়নের বেশি লোক এখনও লড়াই করছে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। এমন অবস্থায় আইপিএল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে গিয়েছে ধোনির প্রত্যাবর্তনও।
ধোনিকে তবু বিশ্বকাপের দলে দেখতে চান ন্যাটওয়েস্ট ট্রফির ফাইনালের নায়ক। কাইফ বলছিলেন, "ধোনিকে বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দেওয়া উচিত হবে না। এখনও ওঁর মধ্যে অনেক ক্রিকেট বেঁচে আছে। যখন একজন ক্রিকেটার দীর্ঘ সময়ের ধরে খেলেন তখন তাঁর কেরিয়ারে ওঠা নামা রয়েই যায়। এটা শুধু ধোনি নয়, সবার ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে।"