আই-লীগের আগামী রবিবারের ডার্বি সম্ভবত অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দর্শক-বিহীন মাঠে। করোনাভাইরাস বা COVID-19 আতঙ্কের জেরে ফাঁকা রাখা হবে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন। বুধবার রাতে করোনাভাইরাসকে "বিশ্বব্যাপী মহামারী" ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আগামীকাল, শুক্রবার, এ বিষয়ে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সঙ্গে বৈঠকে বসবে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ফেডারেশনের এক সূত্র জানায়, "ডার্বির টিকিট আর পাওয়া যাচ্ছে না, সুতরাং বন্ধ স্টেডিয়ামে খেলা হওয়ারই সমূহ সম্ভাবনা। তবে সমস্ত অংশীদারদের মধ্যে শুক্রবার আলোচনা হওয়ার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
দুই রঙের সংঘাত ঘিরে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা
তবে ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত 'নীতু' সরকার আমাদের জানান যে মাঠ ফাঁকা রাখা হলে খেলবে না লাল-হলুদ। "ফাঁকা স্টেডিয়ামে আমরা ডার্বি খেলতে পারব না। সরকার আগামী একমাসের জন্য সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করেছে যখন, তখন খেলা পিছিয়ে দেওয়া হোক। একমাস পর পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কিন্তু ফাঁকা স্টেডিয়ামে ডার্বি খেলা হবে না, কোনোমতেই।"
বড় জনসমাবেশ এবং ক্রীড়ানুষ্ঠান এড়িয়ে চলার ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকা পালন করার যে বার্তা দেশের সমস্ত ফেডারেশনকে দিয়েছে ক্রীড়ামন্ত্রক, তারই প্রেক্ষিতে ডার্বি নিয়ে এই সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে AIFF। ক্রীড়ামন্ত্রকের বার্তায় যা বলা হয়েছে তার সারমর্ম, "কোনোরকম ক্রীড়ানুষ্ঠানে যাতে জনসমাবেশ না হয়, তা নিশ্চিত করুন। যদি অনুষ্ঠান অনিবার্য হয়, তবুও দর্শক সমাবেশ হতে দেবেন না বা ভিড় জমতে দেবেন না।"
গত মঙ্গলবারই অবশ্য এবারের আই-লীগ চ্যাম্পিয়নের মুকুট উঠে গিয়েছে মোহনবাগানের মাথায়। যদিও এখনও চার রাউন্ড খেলা অবশিষ্ট আছে, সেগুলি বাতিল করা যাবে না বলেই জানিয়েছেন AIFF-এর ওই সূত্র। ডার্বির প্রথম পর্ব ২-১ জিতে নেয় বাগান।