ময়দানি ফুটবলে নক্ষত্রপতন। আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত চিবু এজে নাকানামা। ময়দানে সমর্থকদের প্রিয় চিবুজোর। তিন প্রধানেই খেলা তারকা একসময় কলকাতা ফুটবলের হার্টথ্রব ছিলেন। ক্রিস্টোফারের সঙ্গে জুটিতে নাভিশ্বাস তুলতেন প্রতিপক্ষ রক্ষণভাগে। বন্ধু ক্রিস্টোফার আগেই চলে গিয়েছিলেন না দেখার দেশে, এবার সেই পথে পা বাড়ালেন চিবুজোরও।
আশি নব্বইয়ের দশকে কলকাতায় ঘাঁটি গেড়েছিলেন চিবুজোর। পড়াশুনা করতেই শহরে পা রেখেছিলেন। তবে অচিরেই শহরের ফুটবল প্রেমের অংশ হয়ে যান। প্ৰথমে ইস্টবেঙ্গল, তারপরে মোহনবাগান এবং শেষে মহামেডানের জার্সিতে সবুজ ঘাস কাঁপিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সবুজ-মেরুন কাঁপানো স্ট্রাইকার এবার মহামেডানে! বুধবারের বিরাট ঘোষণায় দারুণ চমক
কীভাবে আচমকা প্রয়াত হলেন তিনি। বন্ধু এমেকা এজুগো জানিয়েছেন, "সকালে যথারীতি মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিলেন। বাড়ি ফিরে আচমকা পড়ে যান। তারপরই মৃত্যু ঘটে।"
ভারতে পড়াশুনা করতে নাইজেরিয়া থেকে এসেছিলেন চিবুজোর। ডাভ, পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির হয়ে খেলতেন। তারপরেই নজরে চলে আসেন ইস্টবেঙ্গলের। দুই দফায় খেলেছেন লাল-হলুদের জার্সিতে। ১৮৬/৮৭ মরশুমে খেলার পরে নব্বইয়ের দশকে ১৯৯১/৯২-এ খেলেন তিনি। মাঝে মোহনবাগানেট জার্সি গায়ে চাপা। মহামেডানের হয়েও শেষে খেলতে দেখা যায়। তিন প্রধানেই খেলা বিরল বিদেশিদের অন্যতম তিনি।
ময়দানি ফুটবলে চিবুজোরের বন্ধু সতীর্থ এমেকা এজুগো এই দুঃসংবাদে একদম ভেঙে পড়েছেন। ফেসবুকে লিখেছেন, "ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান, পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির ডাভ কলেজে একসঙ্গে খেলা প্রিয় বন্ধু আমার সাফল্যের অন্যতম ব্যক্তিকে হারিয়ে ফেললাম। ভারতীয় ফুটবল একজন আইকনকে হারালো। ও আমার কাছে ভাইয়ের মত, পরিবারের একজন অংশ হয়ে গিয়েছিল। আমরা অনেকটা পথ হেঁটে ফেললাম। আমি বিধ্বস্ত। শান্তিতে ঘুমোও, চিবু।"
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বিদেশ বসু, সাব্বির আলির মত প্রাক্তন তারকা ফুটবলাররাও।