/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/08/ansumana-kromah.jpg)
পুরনো দলের বিরুদ্ধে ঝলসে উঠলেন ক্রোমা (ফেসবুক)
মোহনবাগানঃ পিয়ারলেসঃ ৩
(ক্রোমা-২, পঙ্কজ মৌলা)
ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে লেটার মার্কস নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল মোহনবাগান। স্প্যানিশ কানেকশনে যুবভারতীর ময়দানে ফুল ফুটিয়েছিলেন চামারো। তবে দিন গড়াতে না গড়াতেই বিপত্তি। কলকাতা লিগে প্রথম ম্যাচেই পিয়ারলেসের কাছে ৩ গোলে বিধ্বস্ত হতে হল মোহনবাগানকে। আর মোহনবাগানকে মাটিতে টেনে আনার নায়ক তাঁদেরই দুই প্রাক্তনী- আনসুমানা ক্রোমা এবং পঙ্কজ মৌলা। জহর দাসের পিয়ারলেস দল এবার রীতিমতো তারকাখচিত। কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার তাঁরা। দুই প্রধানে খেলা একাধিক ফুটবলার এবার পিয়ারলেসের জার্সিতে। পঙ্কজ মৌলা, ক্রোমা তো বটেই, অভিনব বাগ, নুরউদ্দিন, অ্যান্টনি উলফ প্রত্যেকেই নামি মুখ।
সেই দলের কাছেই এবার ভিরমি খেয়ে পড়ল মোহনবাগান। ২১ মিনিটেই পঙ্কজ মৌলার পাস থেকে শিল্টনকে পেরিয়ে পিয়ারলেসকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ক্রোমা। তারপর গোটা ম্যাচে মোহনবাগানকে রীতিমতো দাপটে রাখলেন পিয়ারলেস ফুটবলার। মোহনবাগানে মাঝমাঠ একদমই নো ম্যান্স ল্যান্ড। বিদেশিদের সঙ্গে স্বদেশীয়দের কোনও যেন বোঝাপড়াই নেই। সেই বোঝাপড়ার অনুপস্থিতিতেই খেলা ধরে নিলেন ক্রোমা-উলফরা।
আরও পড়ুন ডুরান্ডের শুরুতেই হিট চামোরো! কিবুর বাগানে শুরুর দিনেই বসন্ত
লজ্জা! গোষ্ঠ পালের অমূল্য পদক ‘হারিয়েছে’ মোহনবাগান!
একটু নিচ থেকে উলফ এবং আপফ্রন্টে ক্রোমা সারাক্ষণ ব্যতিব্যস্ত রাখলেন মোহনবাগান রক্ষণকে। প্রথমার্ধে ১ গোলে শেষ করলেও দ্বিতীয়ার্ধের শেষদিকে জোড়া গোল যোগ করে মোহনবাগান। ৭৬ মিনিটে পঙ্কজ মৌলার গোলে সহায়তা লক্ষীকান্ত মান্ডির। সেই গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই মোহনবাগানের কফিনে শেষ পেরেক পোঁতেন ক্রোমা। নিজের দ্বিতীয় গোল করে। বিরতির পরে শেখ ফৈয়াজ এবং আজাহারউদ্দিনকে তুলে যথাক্রমে সুহের ও নওরেমকে কোচ ভিকুনা নামালেও ম্যাচে ফিরতে পারেনি বাগান।
মোহনবাগানঃ শিল্টন পাল, অরিজিৎ বাগুই, গুরজিন্দর সিং, সুখদেব (ইমরান), ধনচন্দ্র, শেখ ফৈয়াজ (ভিপি সুহের), মুনোজ, জোসেবা বেইতা, রোমেরিও জোসুরাজ, আজাহারউদ্দিন (নওরেম), সালভা চামোরো
পিয়ারলেসঃ জেমস কৈতান, অভিনব বাগ, ক্যালন, রামনদীপ, তন্ময়, নুরউদ্দিন, দীপঙ্কর, পঙ্কজ মৌলা, অনিল কিস্কু, অ্যান্টনি উলফ, আনসুমানা ক্রোমা