ইস্টবেঙ্গল: ০
পিয়ারলেস: ১ (ক্রোমা)
লিগের প্রথম ম্যাচেই ক্রোমার পায়ে চূর্ণ হয়েছিল তাঁর প্রাক্তন ক্লাব মোহনবাগান। এবার ক্রোমার শিকার ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলের ঘরের মাঠে পিয়ারলেস দাদাগিরি দেখিয়ে বেরোল, তাঁর নেপথ্যে সেই খেপুরে ক্রোমা। লিগে এমনিতেই সুবিধাজনক জায়গায় নেই ইস্টবেঙ্গল। পিয়ারলেসের কাছে হেরে আলেয়ান্দ্রো মেনেন্ডেজের দলের লিগ জয় থেকে বহুদূর পিছিয়ে গেল।
ডার্বি ড্রয়ের হ্যাংওভার কাটিয়ে আগের ম্যাচেই সাদার্নকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল। বিদ্যাসাগর, কোলাডোর গোলে পুরো পয়েন্ট ঘরে তুলেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে কোলাডো, বিদ্যাসাগরকে প্রথম একাদশ থেকে বিশ্রাম দিতেই ইস্টবেঙ্গল আক্রমণের কঙ্কালসার দশা প্রকট হয়ে উঠল। একটাও ভাল মুভ নেই, পাস নেই। আর ইস্টবেঙ্গলের নিষ্ফলা আক্রমণের দিনেই ফের একবার ক্রোমা নায়ক।
প্রথমার্ধ গোলশুন্য শেষ হওয়ার পরে দ্বিতীয়ার্ধের মাঝামাঝি গোল ক্রোমার পেনাল্টি থেকে। বক্সের মধ্য়ে কমলপ্রীত ফাউল করেছিলেন পঙ্কজকে। প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে নিখুঁত প্লেসিংয়ে গোল করতে ভুল করেননি পিয়ারলেসের তারকা স্ট্রাইকার।
৫৮ ও ৬২ মিনিটে আলেয়ান্দ্রো পরপর নামিয়েছিলেন তাঁর তুরুপের দুই তাসকে। এই নিয়ে এস্পাদা তিনটে ম্যাচ খেলে ফেললেন। তবে এখনও পর্যন্ত নজর কাড়তে ব্যর্থ। তাঁকে ও রোনাল্ডোকে তুলে আলেয়ান্দ্রো যথাক্রমে নামালেন বিদ্যাসাগর ও কোলাডোকে। তবে দুই তারকা মাঠে নামার পরেই গোল করে পিয়ারলেস। এরপরে আধঘণ্টার বেশি সময় পেলেও সমতা ফেরাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
উলটে অতিরিক্ত সময়ে পিয়ারলেসের ফুটবলারদের সঙ্গে অহেতুক ঝামেলা করে বসলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। সবমিলিয়ে ডুরান্ডের পরে ইস্টবেঙ্গলের কলকাতা লিগও যে হাতছাড়া হওয়ার পথে, তা বলেই দেওয়া যায়।
ইস্টবেঙ্গল: মাওইয়া, গোমেজ, কমলপ্রীত, পিন্টু মাহাতো (সামাদ), কাশিম আইদারা, এসপাদা (হাইমে), রোনাল্ডো (বিদ্যাসাগর), ডিকা, অভিষেক আম্বেকর, মেহতাব সিং, ব্রেন্ডন
পিয়ারলেস: অরূপ, অভিনব, মোহনরাজ, ক্যালন, মনোতোষ, ফুলচাঁদ, দীপ্যেন্দু, এডমন্ড, দীপঙ্কর (পঙ্কজ), ক্রোমা, জীতেন