তিনি ফ্রান্স জাতীয় দলে সিনিয়র তারকা। অথচ তাঁকে উপেক্ষা করেই কিনা নেতৃত্বের দায়িত্বে আনা হল কিলিয়ান এমবাপেকে। এরপরেই নিজের আন্তর্জাতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন আন্তোনিও গ্রিজম্যান। জানা যাচ্ছে ক্যাপ্টেন হুগো লরিসের অবসরের পর কোচ দিদিয়ের দেশের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন এমবাপে। তারপরে ফরাসি ফুটবল সংস্থা মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে, এমবাপেকেই নেতা করা হল জাতীয় দলের।
টটেনহ্যামে খেলা হুগো লরিস বিশ্বকাপের পরেই জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছিলেন। তারপরেই কোচ দিদিয়ের দেশচ্যাম্পের পরামর্শ মেনে ফরাসি ফুটবল সংস্থা ক্যাপ্টেন হিসাবে বেছে নেয় এমবাপেকে। এমনিতে একটি।বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন এবং তারপরের বিশ্বকাপে দলকে রানার্স করার পরে এমবাপের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
অন্যদিকে, ফ্রান্সের জাতীয় দলে অপরিহার্য আন্তোনিও গ্রিজম্যানও। ফ্রান্সের হয়ে তাঁর নামের পাশে রয়েছে ৪২ গোল। ২০১৮-য় জাতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। অভিজ্ঞতায় বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকায় তিনিই ক্যাপ্টেন হবেন, এমন ধারণা চালু ছিল। তবে ক্যাপ্টেন নয়, ভাইস ক্যাপ্টেন করা হয়েছে তাঁকে। যা মানতে রাজি নন খোদ গ্রিজম্যান।
কোচ দিদিয়ের দেশ টিএফওয়ানে বলেছেন কেন এমবাপেকেই ক্যাপ্টেন করা হল, "কিলিয়ান এমবাপে ফ্রান্সের নতুন ক্যাপ্টেন। আন্তোনিও গ্রিজম্যান ভাইস-ক্যাপ্টেন। দায়িত্ব নেওয়ার সমস্ত গুণাবলী রয়েছে কিলিয়ানের। দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হওয়ায় মাঠ, মাঠের বাইরে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।"
এমবাপেকে ক্যাপ্টেন করায় সরব হয়েছেন ফ্রান্সের প্রাক্তন ফুটবলাররাও। সবথেকে ক্ষুব্ধ রবার্ট পিরেস। "এটা যুক্তিসঙ্গত বাছাই? সত্যি কথা বলতে, একদমই নয়। জাতীয় দলে ওঁর স্থায়িত্বের বিষয় বিচার্য হলে কী করেছে ও। আমি তো ভেবেছিলাম গ্রিজম্যানকে ক্যাপ্টেন করা হবে। আন্তোনিও দিদিয়েরের দলের মহারথী। টানা সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলেছে। এতে আন্তোনিওকে অসম্মান করা হল। অবশ্যই সকলকে জানাতে চাই, কিলিয়ানের বিরুদ্ধে নই আমি।" আর্সেনালের একসময়ের সুপারস্টার বলে দিয়েছেন 'গেট ফ্রেঞ্চ ফুটবল নিউজ'-কে।
Read the full article in ENGLISH