বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এক মাস অতিক্রান্ত। তবে এখনও এমবাপে বনাম আর্জেন্টাইনদের দ্বৈরথ থামার কোনও লক্ষণ নেই। এমনিতেই বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এমবাপেকে নিয়ে যুদ্ধ সরকারি স্তরে পৌঁছে গিয়েছে। ড্রেসিংরুমে আর্জেন্টাইন গোলকিপার সহ গোটা দল এমবাপেকে নিয়ে কটূক্তি করে গান গেয়েছিল। তারপরে রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে আর্জেন্টিনার দলের বাস প্যারাডেতে এমবাপের পুতুল নিয়ে সেলিব্রেশন হোক বা এমবাপের কুশপুতুল পোড়ানো- দুই দলের সম্পর্কে দগদগে ক্ষত তৈরি করেছে। এমনকি ফ্রান্স ফুটবল সংস্থার তরফে সরকারিভাবে আর্জেন্টাইন ফুটবল ফেডারেশনকে অভিযোগও জানানো হয়েছে।
এমবাপেও মেসির মুখের ওপর গোলের উদযাপন করেন বিশ্বকাপ ফাইনালে। কিন্তু অন্য কোনও ফরাসি ফুটবলার নয়, এমবাপেই কেন বারবার আর্জেন্টাইনদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন?
সেই ঘটনাই এবার খোলসা করলেন বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো। ডি স্পোর্টস রেডিও-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টটেনহ্যামে খেলা তারকা জানিয়ে দিয়েছেন, গোটা ম্যাচ জুড়েই অভব্যতা করছিলেন এমবাপে। এমনকি এমবাপে নাকি বারবার এনজো ফার্নান্দেজের ওপর চড়াও হন। সেই কারণেই মেসির তৃতীয় গোলের পর রোমেরো এমবাপের মুখের ওপর চিৎকার করে উদযাপন করেন।
হাইভোল্টেজ বিশ্বকাপ ফাইনালে মেসি, ডি মারিয়ার গোলে বিরতির আগেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। তবে ৮০ মিনিটের পর এমবাপের জোড়া গোলে দুর্ধর্ষ কামব্যাক করে ফ্রান্স। এক্সট্রা টাইমে মেসি ফের একবার আর্জেন্টিনকে এগিয়ে দিলেও এমবাপে নিজের হ্যাটট্রিক সম্পন্ন করে দলকে টাইব্রেকার শ্যুট আউটে নিয়ে যান। যেখানে আর্জেন্টিনা শেষ হাসি হাসে ৪-২ ব্যবধানে জিতে।
আর মেসির তৃতীয় গোলের পরেই রোমেরোকে দেখা গিয়েছিল এমবাপের মুখের কাছে চিৎকার করে উদযাপন করতে। রোমেরো জানালেন এমবাপের ব্যবহারের জন্যই তাঁর মুখের কাছে চিৎকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি।
"ওর মুখের কাছে গিয়ে চিৎকার করি, কারণ এনজো ওঁর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিল। ও খুব বাজে ব্যবহার করে। তারপরেই লিওর গোলের উদযাপন করি ওঁর কাছে গিয়ে।" জানিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো।