করোনায় সাহায্যে এবার এগিয়ে এলেন বাংলার প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা। ৩৮ বছরের তারকা ক্রিকেটার করোনায় আক্রান্তদের সাহায্যার্থে বিধায়ক হিসাবে তিন মাসের প্রাপ্ত বেতন ও বিসিসিআই-য়ের পেনশন তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রাণ তহবিলে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বাংলার প্রাক্তন তারকা জানান , "নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশে দাঁড়ানো উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ইতিমধ্যেই আমি বিধায়ক হিসাবে তিন মাসের বেতন তুলে দিয়েছি। প্রাক্তন ক্রিকেটার হওয়ায় বিসিসিআই য়ের কাছ থেকেও পেনশন বাবদ অর্থ পেয়ে থাকি। তিন মাসের পেনশনের অর্থও ত্রাণ তহবিলে দান করেছি।"
জাতীয় দলের হয়ে খেলা এই অলরাউন্ডার ২০১৫ সালে অবসরের পরেই রাজনীতিতে যোগ দেন। নির্বাচনে লড়ে জিতে বিধায়ক হওয়ার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ক্রীড়ামন্ত্রীও হন।
১৯৯৯ সালে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন লক্ষীরতন শুক্লা। তবে বঙ্গ তারকার জাতীয় দলের জীবন দীর্ঘায়িত হয়নি। মাত্র তিনটি খেলাতেই ছেদ পরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের।
এরপরে রাজ্যস্তরে একাধিকবার পারফর্ম করলেও জাতীয় দলে আর ডাক আসেনি। আন্তর্জাতিক মঞ্চে ডাক না পেলেও বাংলার হয়ে খেলা চালিয়ে যান তিনি। ২০১১/১২ মরশুমে বিজয় হাজারে জয়েও অবদান রাখেন তিনি। ফাইনালে শক্তিশালী মুম্বাইকে বধ করে এসেছিল বাংলার জয়। আইপিএলে কেকেআরের জার্সিতে শুক্লা ট্রফিও জেতেন। পরে দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও সানেইজার্সের জার্সিতে অংশ নেন আইপিএলে।
গোটা বিশ্বের খেল জগতের মতো ভারতেও খেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে করোনার প্রকোপে। ইরানি ট্রফি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রঞ্জি ফাইনালের পঞ্চম দিন দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল।ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ যেমন ক্যানসেল হয়ে গিয়েছে তেমনই আবার আইপিএল আয়োজন নিয়েও আশঙ্কা পুরোমাত্রায় রয়েছে।
মার্চের ২৯ তারিখে আইপিএল শুরু হওয়ার কথা থাকলেও করোনার ধাক্কায় প্রথমে এপ্রিলের ১৫ তারিখ পিছিয়ে যায়। তারপরে লকডাউন আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।গোটা বিশ্বের পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত ভারতও। এমন আবহে চলতি বছরে আইপিএলের আয়োজন করা সম্ভব কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে গেছে।
এর মধ্যেই সাধ্যমত সাহায্য করছেন ক্রীড়াবিদরা। শচীন শুক্রবারেই ৫০ লক্ষ টাকা ত্রাণ হিসাবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শচীন ছাড়া করোনা মোকাবিলায় এর আগে ক্রিকেটারদের মধ্যে এগিয়ে এসেছেন পাঠান ভাইয়েরা। বরোদা পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে ৪০০ মাস্ক তুলে দিয়েছেন ইরফান ও ইউসুফ। পাশাপাশি পুণের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে ধোনি এক লক্ষ টাকা দান করেছেন।
অন্যান্য ক্রীড়াবিদদের মধ্যে কুস্তিবিদ বজরং পুনিয়া, স্প্রিন্টার হিমা দাস নিজেদের বেতন তুলে দিয়েছেন করোনা মোকাবিলার জন্য। গোটা দেশে আপাতত ২১ দিনের লকডাউন জারি রয়েছে।