'ওয়ান লাস্ট রোর', আর কোর্টে নামবেন না দেশের টেনিস আইকন লিয়েন্ডার পেজ

৪৬ বছরের পেজের ক্য়াবিনেটে রয়েছে শতাধিক ট্রফি। এরমধ্য়ে রয়েছে ১৮টি গ্র্য়ান্ড স্লাম ডাবল। ২০১৬ সালে মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে ফরাসি ওপেনের মিক্সড ডাবলস জেতেন তিনি। এটিই তাঁর শেষ গ্র্য়ান্ড স্লাম।

৪৬ বছরের পেজের ক্য়াবিনেটে রয়েছে শতাধিক ট্রফি। এরমধ্য়ে রয়েছে ১৮টি গ্র্য়ান্ড স্লাম ডাবল। ২০১৬ সালে মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে ফরাসি ওপেনের মিক্সড ডাবলস জেতেন তিনি। এটিই তাঁর শেষ গ্র্য়ান্ড স্লাম।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Leander Paes anounces retirement sports

২৮ বছরের কেরিয়ারে ইতি টানছেন লিয়েন্ডার পেজ

"ওয়ান লাস্ট রোর"। শেষ কয়েক ঘণ্টায় সোশাল মিডিয়ার ট্রেন্ডিং হ্য়াশট্য়াগ এটাই। বড়দিনে বিরাট ঘোষণা করলেন লিয়েন্ডার পেজ। ভারতের টেনিস আইকন জানিয়ে দিলেন আগামী বছরেই তিনি টেনিসকে বিদায় বলছেন।

Advertisment

বর্ণাঢ্য় দীর্ঘ ২৮ বছরের কেরিয়ারে ইতি টানছেন এই খেলার অন্য়তম সেরা নাম। ২০২০ সালে বাছাই করা কয়েকটি টুর্নামেন্ট খেলেই পেজ তুলে রাখবেন তাঁর র‌্যাকেট। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সন্ন্যাসের কথা জানিয়েছেন তিনি।

সকলকে ক্রিস্টমাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ভেস পেজের ছেলে লিখলেন, "প্রো টেনিস প্লেয়ার হিসাবে ২০২০ সালই আমার ফেয়ারওয়েল বছর হতে চলেছে। আগামী বছর আমি কয়েক'টি বাছাই করা টুর্নামেন্ট খেলব। আমার দলের সঙ্গে ভ্রমণ করব। বিশ্বব্য়াপী ফ্য়ানেদের সঙ্গে সেলিব্রেশনে মাতব। যাঁরা আমায় অনুপ্রাণিত করেছেন, তাঁদের বলতে চাই ধন্য়বাদ।"

Advertisment

আরও পড়ুন-মানির বিতর্কিত মন্তব্যের পালটা এবার বিসিসিআইয়ের

৪৬ বছরের পেজের ক্য়াবিনেটে রয়েছে শতাধিক ট্রফি। এরমধ্য়ে রয়েছে ১৮টি গ্র্য়ান্ড স্লাম ডাবলস (আটটি পুুরুষ ডাবলস ও ১০টি মিক্সড ডাবলস)। ২০১৬ সালে মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে ফরাসি ওপেনের মিক্সড ডাবলস জেতেন তিনি। এটিই তাঁর শেষ গ্র্য়ান্ড স্লাম। পেজ ছাড়া আর কোনও ভারতীয়ের ঝুলিতে এতগুলি স্লাম ডাবলস নেই।

টেনিসের ঐতিহ্য়বাহী টুর্নামেন্ট বলতে ডেভিস কাপের কথাই মাথায় আসে। আর সেখানেও ইতিহাসে নিজের নাম লিখিয়েছেন পেজ। সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় তিনি। ৪৪ বার জেতার নজির আর কারোর নেই। পেজ উইম্বলডনে (১৯৯০) ও যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে (১৯৯১) জোড়া জুনিয়র সিঙ্গেল খেতাব পেয়েছেন।

আরও পড়ুন-সৌরভের চার দেশের টুর্নামেন্ট ফ্লপ হবে, বলছেন লতিফ

হিঙ্গিসের সঙ্গে গ্র্যান্ড স্লাম জেতার পর থেকেই পেজের কেরিয়ারের গ্রাফ ক্রমেই নামতে থাকে। শেষ ১৯ বছরে এই প্রথমবার তিনি বিশ্বের প্রথম ১০০ জন টেনিস খেলোয়াড়ের মধ্য়ে নেই। ব্য়াক্তিগত জীবন নিয়ে জর্জরিত পেজ অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললেন।

পেজের বাবা দেশের হয়ে অলিম্পিকে শুধু প্রতিনিধিত্বই করেননি। ১৯৭২ সালে মিউনিখে ব্রোঞ্জ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য়ও ছিলেন তিনি। পেজও ১৯৯৬ সালে আটলান্টায় অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জই পেয়েছিলেন। ভারতের টেনিস মানচিত্র সবচেয়ে উজ্জ্বল তিনিই। অর্জুন পুরস্কারের সঙ্গেই পদ্মভূষণ ও পদ্মবিভূষণে ভূষিত পেজ। শেষবার গর্জনের জন্য় তৈরি সিংহহৃদয়ের মানুষ।

tennis Leander Paes