করোনার আবহে আগেই না দেখার দেশে চলে গিয়েছিলেন ইরফান খান ও ঋষি কাপুর। এবার মৃত্যুর সেই তালিকায় নাম লেখালেন প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার চুনী গোস্বামী। নিজের বাসভবনেই এদিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ১৯৬২-র সোনাজয়ী এশিয়ান দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ক্রিকেট ও ফুটবল দুই খেলাতেই পারদর্শী ছিলেন। ক্রিকেটে বাংলার হয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্বও করেছেন।
গত কয়েকবছর ধরেই ডায়াবেটিস, স্নায়ুরোগ এবং প্রস্টেটের সমস্যায় ভুগছিলেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এদিনই শহরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে। বিকাল ৫টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
ভারতের ফুটবল ইতিহাসে সোনার অক্ষরে লেখা থাকবে চুনী গোস্বামীর নাম। ১৯৬২ সালে দেশকে এশিয়ান গেমসে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন নেতা হিসেবে। ১৯৬৪-র এশিয়ান গেমসে রানার্স আপও হয় টিম ইন্ডিয়া। ৬ মাস পরে মারডেকা কাপে অল্পের জন্য ফাইনালে বার্মার কাছে হেরে রানার্স আপ হয়। ক্লাব ফুটবলে চুটিয়ে খেলেছেন মোহনবাগানের হয়ে।
তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বছরে ক্রিকেট ও ফুটবল দুই দলেরই অধিনায়ক ছিলেন।
১৯৬২-৬৩ তে বাংলার হয়ে রঞ্জি অভিষেক ঘটে তাঁর। সেই মরশুমে বাংলাকে নেতৃত্ব দিয়ে রঞ্জি ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন। ক্রিকেটার হিসেবে নামকরা হলেও ফুটবলার পরিচিতি তাঁকে কিংবদন্তির আখ্যা দেয়।
প্রবাদপ্রতিম এই ক্রীড়াবিদের মৃত্যুতে শোকের ছায়া দেশের ক্রীড়ামহলে।