scorecardresearch

বিশ্বকাপ জয়ের পরেই বন্ধু আগুয়েরোর ওপর ক্ষেপে লাল হয়ে যান মেসি, ফাঁস করলেন সুপারস্টার নিজেই

মেসির সঙ্গে আগুয়েরোর কী কথা হয়েছিল, জানা গেল এবার

বিশ্বকাপ জয়ের পরেই বন্ধু আগুয়েরোর ওপর ক্ষেপে লাল হয়ে যান মেসি, ফাঁস করলেন সুপারস্টার নিজেই

প্ৰথম একাদশে খেলে যেমন আনন্দ পেতেন, সেই তৃপ্তি পেয়েছেন লিওনেল মেসির হাতে কাপ জয়ের সাক্ষী থাকতে পারে। তা-ও আবার ডাগ-আউটে বসে। সের্জিও কুন আগুয়েরো বর্তমানে বিশ্বের সুখীতমদের একজন। হৃদরোগের কারণে খেলা ছেড়ে দিয়েছেন এক বছর আগে। তবে তাতে দলের সঙ্গে থাকা আটকায়নি। ফাইনালের আগে লিওনেল মেসির সঙ্গে রুম শেয়ার করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল খোদ আর্জেন্টিনীয় ফুটবল সংস্থা। মেসি আন্তর্জাতিক ম্যাচে বরাবর রুমমেট হিসাবে বেছেছেন প্রিয় বন্ধু আগুয়েরোকে। এবার তারকা ফুটবলারের ও অনুপস্থিতিতে একাই থাকছিলেন রুমে। তবে ফাইনালে চিরচেনা বন্ধুর সাহচর্য পেয়েই মাঠে নেমে ফ্রান্সের মোকাবিলা করেছেন।

তবে বিশ্বকাপ জয়ের পরেই মেসির রেগে গিয়েছিলেন বন্ধু আগুয়েরোর ওপর। আর্জেন্টিনীয় সুপারস্টার ফুটবলার টিওয়াইসি স্পোর্টস-এ বলেছেন, “ফাইনালে প্রচুর ড্রিংক করেছিলাম। খাবার ছুঁয়ে পর্যন্ত দেখিনি। আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। সেই আনন্দে ড্রিংক করা থামাইনি। যদি কিছু হত, তাতে আক্ষেপ থাকত না। লিও (মেসি) ভয়ঙ্কর রেগে যায়। আমাকে থামতে বলে। তবে আমরা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন। এত্ত আনন্দ, কীভাবে থামি বলুন তো?”

আরও পড়ুন: এমবাপের পায়ের তলায় ফুটবল বিশ্ব! মেসির সঙ্গে দ্বৈরথের আবহেই খুল্লামখুল্লা মত জানালেন সৌরভ

লুসেইল স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার সঙ্গেই বিশ্বকাপ উদযাপনে মেতেছিলেন আগুয়েরো। এমনকি জয়ের পর মেসিকে কাঁধে তুলে নিতেও দেখা যায় তারকাকে।

সেই স্মৃতি আজীবন অম্লান হয়ে থাকবে ম্যান-সিটির সুপারস্টারের, “বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে কাঁধে তুলেছিলাম। কাঁধ নাচাচ্ছিলাম, যাতে ও লাফাতে পারে। একটা সময়ে আর সহ্য করতে পারছিলাম না। কাঁধ আর নাড়াতে গেলেই ব্যথা হচ্ছিল। আর কিছু সময় সেরকম চললে হাসপাতালে ভর্তি হতে হত। মেসি নিজেও এটা উপলব্ধি করতে পেরেছিল। আমাদের মধ্যে চোখে চোখে কথা হয়ে যায়। আমি বলি, সব ঠিক আছে। আমরা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন। তবে আমার পিঠে যন্ত্রণা হচ্ছে। তারপরেই ও নেমে যায়।”

আরও পড়ুন: মেসি প্যারিসে আসতেই এড়িয়ে গেলেন এমবাপে, মুখোমুখি হওয়া রুখতে ফ্রান্স-ই ছাড়লেন তারকা

জাতীয় দলের বিশ্বকাপ জয়ে এতটাই আগুয়েরো উদ্বেল হয়ে পরেন যে কাতারে নিজেদের ফ্ল্যাটে পুত্রকে রেখেই বুয়েন্স আয়ার্সের বিমানে প্রায় চড়ে বসেছিলেন। “ছেলেরা চাইছিল আমাদের সঙ্গে আর্জেন্টিনার প্লেনে চাপবে। প্লেনের সময় হয়ে আসায় ওঁরা সকলে আমাকে তাড়াতাড়ি করতে বলছিল। তারপরে পাসপোর্টের সমস্ত হাঙ্গামা সামলাতে হচ্ছিল। জাতীয় দলের সঙ্গে ঠিক বেরোনোর মুখেই মনে পড়ে যায় ছেলে ফ্ল্যাটে রয়ে গিয়েছে। ওঁকে ফেলে আসা সম্ভব ছিল না। বেনজাকে ফোনে বলি, আমি আসছি!”

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Sports news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Lionel messi sergio aguero argentina vs france fifa world cup final