এমবাপের জোড়া পেনাল্টি মিসের রাতে মেসি পিএসজিকে গোল করে জিতিয়েছেন। ৩-১ গোলে জিতে পিএসজি লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা লেন্সের সঙ্গে পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধান বাড়িয়ে নিয়েছে। ইউরোপের শীর্ষ সারির পাঁচ লিগে এই নিয়ে মেসির গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৬৯৭। এই নজিরের হিসাবে মেসি পেরিয়ে গেলেন রোনাল্ডোকে।
রোনাল্ডোর থেকে ৮৪ ম্যাচ কম খেলেই এই অর্জন সম্পূর্ণ করলেন আর্জেন্টিনীয় মহাতারকা। মন্তেপিয়ের ম্যাচের আগে লা লিগায় চলতি সিজনে মেসির গোলসংখ্যা ছিল ১৩টি। ক্লাব ফুটবলেও মেসির গোলসংখ্যা ছিল ৬৯৬। ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে রোনাল্ডোর ৬৯৬ গোল করেছেন। মেসি বুধবার রাতে পেরিয়ে গেলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে।
আরও পড়ুন: ফুটবল মাঠে আর দেখা যাবে না মেসিকে! অবসর-জল্পনার বোমায় কাঁদিয়ে দিলেন মহাতারকা
রোনাল্ডো বর্তমানে ইউরোপীয় ফুটবলের বাইরে। খেলছেন এশিয়ায়। নাম লিখিয়েছেন সৌদি প্রো লিগে। ইউরোপের সেরা ক্লাব লিগে রোনাল্ডোর প্রত্যাবর্তন না ঘটলে মেসি আপাতত নিজের গোলসংখ্যা আরও বাড়িয়ে নেবেন। রোনাল্ডো ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, রিয়েল মাদ্রিদ এবং জুভেন্তাসের হয়ে গোল করেছেন যথাক্রমে ১৪৫, ৪৫০ এবং ১০১টি। কেরিয়ারের সেরা সময়ে লা লিগায় মেসি-রোনাল্ডো প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা-রিয়েল মাদ্রিদে খেলেছেন টানা নয় মরশুম।
দুজনে সম্মিলিতভাবে ক্লাব ফুটবলে সবমিলিয়ে ৭৬টি (মেসি ৪২টি, রোনাল্ডো ৩৪টি) মেজর ট্রফি জিতেছেন। ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরা দুই নক্ষত্র দুজনেই।
আরও পড়ুন: একটা নয়, দু-দুটো পেনাল্টি মিস করে ভিলেন এবার এমবাপে! মেসি-ম্যাজিকে জয় PSG-র
যাইহোক, মেসি সম্প্রতি অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন এক সাক্ষাৎকারে। মেসি আর্বানা প্লে-কে জানিয়েছেন, “কেরিয়ারের একটা পর্ব সমাপ্ত হল। একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ। যা স্বপ্ন ছিল, জাতীয় দলের হয়ে সমস্ত অর্জন পূর্ণ করে ফেলেছি। ব্যক্তিগত সমস্ত মাইলফলক জয় করেছি। এখন স্বকীয়ভাবে কেরিয়ার শেষ করার পালা। কেরিয়ার শুরুর সময় ভাবতেই পারিনি, এত সবকিছু করতে পারব। এই পর্যায়ে পৌঁছতে পারা সেরা অধ্যায়। কোনও অভিযোগ। চাওয়ারও এর কিছু বাকি নেই। কোপা জিতেছি। ওয়ার্ল্ড কাপ জয়ও সম্পূর্ণ। আর কোনও চ্যালেঞ্জই বেঁচে নেই।”
Read the full article in ENGLISH