কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছিল লিওনেল মেসি সহ গোটা আর্জেন্টিনীয় দল। আর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঘরে ছিলেন স্বয়ং লিওনেল মেসি, সেই ঘরটি বদলে ফেলা হবে ছোটখাটো মিউজিয়ামে। এমনটাই মঙ্গলবার জানিয়েছে প্রচারমাধ্যম এল গ্রাফিকো।
আর্জেন্টিনীয় জাতীয় দল যেসব রুমে ছিলেন, তাঁর ফটো সিরিজ প্রকাশ করেছে কাতার বিশ্ববিদ্যালয়। একাধিক ছবি প্রকাশ করেই জানানো হয়েছে মেসি যে রুমে ছিলেন সেই বি-২০১ রুম বদলে ফেলা হবে প্রদর্শনীশালায়। তবে সেই মিউজিয়াম একই কমপ্লেক্স থেকে নাকি অন্য কোনও স্থান থেকে পরিচালনা করা হবে, তা জানানো যায়নি।
কোনও নামি পাঁচতারা হোটেল নয়, বিশ্বকাপে দুবাইয়ের বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে আস্তানা গেড়েছিল আর্জেন্টিনীয় স্কোয়াড। এর আগে ডেইলি মেইল-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, পাঁচতারা অভিজাত হোটেলের বদলে কাতার ইউনিভার্সিটিতে মেসিদের ঘাঁটি গাঁড়ার উদ্দেশ্য ছিল যাতে নিজেদের ঐতিহ্যবাহী বিফ বার্বিকিউ বানানো যায় ইচ্ছামত। সেই কারণেই টন টন প্যাকেটজাত গো-মাংস নিয়ে আসা হয়েছিল আর্জেন্টিনা থেকে। একদম প্রথাগত আর্জেন্টিনীয় স্টাইলে যাতে রান্না করা হয়, তা দেখভাল করার জন্য শ্যেফও নিয়ে এসেছিলেন মেসিরা।
কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ স্বপ্নের মত ফিনিশ করেছেন মেসি। কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচে ট্রফি হাতে পোডিয়ামে দাঁড়িয়েছেন। সতীর্থদের সঙ্গে লাগামছাড়া ট্রফি জয় উদযাপন করেছেন। যে ট্রফি জয় তাঁর ক্যাবিনেটে অনুপস্থিত ছিল এতদিন, সেই ট্রফি শেষমেশ হাতে তুলে দিয়েছে কাতার।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ! রূপান্তরকামী বান্ধবীর সঙ্গে বিচ্ছেদে এবার হৃদয় ভাঙল এমবাপের
ফাইনালে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জোড়া গোল করে যান তিনি। অন্যদিকে এমবাপের হ্যাটট্রিকের সৌজন্যে ম্যাচ নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ৩-৩ গোলে শেষ হয়েছিল। টাইব্রেকারে বাজিমাত করে যায় আর্জেন্টিনা। ৪-২ ব্যবধানে ফ্রান্সকে পরাস্ত করে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা।