৩০ বছর অপেক্ষার অবসান। অবশেষে ইপিএল চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। ১৯৯০ সালে শেষবার ইংল্যান্ড ফুটবলের সেরা হয় রেডসরা। তারপর আর চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাদানিতে উঠতে পারেনি লিভারপুল। সেই ট্রফি খরা কাটিয়ে বৃহস্পতিবারই লিগ জয় নিশ্চিত করে ফেলল জুর্গেন ক্লপের দল। এই শতকে প্রথমবার।
মাঠে না নেমেই অবশ্য ট্রফি জয় নিশ্চিত করে ফেলল লিভারপুল। রেডস দের একমাত্র ছুঁতে পারত ম্যানচেস্টার সিটি। তবে দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটিকে লক্ষীবারে চেলসি ২-১ ব্যবধানে হারাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় কোনোভাবেই পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার ছুঁতে পারবে না লিভারপুলকে। এখনো লিগের সাত ম্যাচ বাকি থাকলেও পয়েন্টের বিচারে লিভারপুল ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেল বাকিদের।
তিন দশক ধরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ চেটেপুটে উপভোগ করতে প্রস্তুত লিভারপুল সমর্থকরাও। তবে, সেই বেলাগাম পার্টিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশজোড়া ভাইরাস জনিত বিধিনিষেধ। তাই সংযতভাবেই লিভারপুল সমর্থকরা নেমে পড়লেন সেলিব্রেশনে। বেশ কিছু অতি উৎসাহী সমর্থককে দেখা গেল এনফিল্ড স্টেডিয়ামের বাইরে আতশবাজি নিয়ে আনন্দ করতে।
লিভারপুল সমর্থকদের উছ্বাস।
তিন দশক পর চ্যাম্পিয়ন হল রেকর্ড করে। ১৮৮৮ সালে প্রিমিয়ার লিগ শুরু হওয়ার পর এর আগে কোনো দল এত ম্যাচ বাকি থাকতে চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা পড়তে পারেনি। পাশাপাশি কোনো দলই জুনে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।
এদিন চেলসি বনাম সিটি ম্যাচে নজর ছিল সবারই। সিটি হারলেই চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করে ফেলবে লিভারপুল, এমন সমীকরণের সামনেই এদিন শুরু হয় খেলা। ৭৮ মিনিটে উইলিয়ানের পেনাল্টি গোল জালে জড়াতেই এলফিল্ড স্টেডিয়ামে জ্বলে ওঠে আলো।
চেলসির হয়ে প্রথম গোল করেন পুলিসিচ। দুরন্ত ফ্রি কিকে সমতা ফিরিয়ে দেন সিটির মিডফিল্ডার কেভিন ডে ব্রুইন। ৭৭ মিনিটে ফার্নান্দিনহো হ্যান্ডবল করে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। এরপরে টমি আব্রাহাম স্পটকিক থেকে গোল করে যান। উইলিয়ানের পেনাল্টি গোল এরপর গোলে জড়াতেই পার্টি শুরু লিভারপুল তাঁবুতে। প্রায় ১১০০০ দিন পর।