লিভারপুলের মহম্মদ সালাহকে বর্ষসেরা ফুটবলার হিসেবে বেছে নিল প্রফেশনাল ফুটবলার্স অ্যাসোসিয়েশন (পিএফএ)। ২০১৭-১৮ মরশুমে অসাধারণ পারফরম্যান্সের সুফল পেলেন বছর পঁচিশের এই মিশরীয় যুবক। সে দেশের প্রথম কোনও ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কার পাওয়ার নজির গড়লেন তিনি।
এবার এই পুরস্কারের জন্য লড়াইতে ছিলেন আরও ছ জন ফুটবলার। প্রিমিয়র লিগ জয়ী ম্যাঞ্চেস্টার সিটিরই তিন ফুটবলার মনোনীত হয়েছিলেন। কেভিন ডি ব্রুইন, দাভিদ সিলভা ও লেরয় সান ছিলেন এই লড়াইয়ে। এছাড়াও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের স্টার গোলকিপার ডেভিড ডি গিয়া ও টটেনহ্যামের স্ট্রাইকার হ্যারি কেনও ছিলেন তালিকায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেশি ভোট পেয়ে বাজিমাত করলেন মো সালাহ।
প্রিমিয়র লিগে চলতি মরশুমে এক কথায় দুরন্ত ফুটবল উপহার দিয়েছেন সিটির বরুইন ও লিভারপুলের সালাহ। কিন্তু সালাহই সর্বাধিক ভোটে জয়লাভ করে বিজয়ী হলেন। ৪৬ ম্যাচে ৪১টি গোল করেছেন তিনি। ২০১৬-তে ৩৪ মিলিয়ন পাউন্ডে রোমা থেকে লিভারপুলে আসেন সালাহ। প্রিমিয়র লিগের ইতিহাসে সালাহই প্রথম ফুটবলার যিনি এক মরশুমে তিনবার মাসের সেরা ফুটবলার হয়েছেন। নভেম্বর, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে এই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, পিএফএ-র বর্ষসেরা দলে একমাত্র লিভারপুলের ফুটবলার তিনি।
গত রবিবার সেন্ট্রাল লন্ডনের গ্রসভেনর হাউসে পুরস্কার হাতে নিয়ে সালাহ বললেন, “ এটা আমার কাছে বিরাট সম্মানের। আমি আমার ব্যাপারে চিন্তিত নই। দলের জন্য জিততে পারাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেমিফাইনালে উঠে আমরা খেতাবের অনেকটাই কাছে এসে গিয়েছি। আশা করি জিততে পারব। আমরা যেভাবে খেলি তাতে দলের থেকে অনেক সাহায্য় পাই।আমাকে সবসময় সতীর্থরা পাস বাড়ায়”
২০১৪ সালে লিভারপুলের হয়ে শেষবার পিএফএ-র বর্ষসেরা ফুটবলারের শিরোপা উঠেছিল লুইস সুয়ারেজের মাথায়। চার বছর পর এই ক্লাবের হয়ে ট্রফি জিতলেন সালাহ। তাঁর অসাধারণ খেলার সুবাদেই চলতি মরশুমে য়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে। সিটির সানেকে পিএফ-এ বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলার হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ৪২ বছর পর আবার সিটির কোনও ফুটবলার এই পুরস্কার পেলেন। ১৯৭৫-৭৬ মরশুমে শেষবার পিটার বার্নেস বর্ষসেরা তরুণ ফুটবলার হয়েছিলেন। সানে জার্মানির প্রথম ফুটবলার হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন।