উয়েফার পর ফিফা-র বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন লুকা মডরিচ। এবারও সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে হারিয়েই শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডার। মঙ্গলবার রাতে লন্ডনে বসেছিল ফিফা-র বার্ষিক পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠান।
২০১৬-১৭ মরসুমে রিয়ালের জার্সিতে টানা তৃতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন রোনাল্ডো। শেষ দু’বারের চ্যাম্পিয়নও তিনি। ফলে ‘দ্য বেস্ট’ পুরস্কার জেতার অন্যতম দাবিদার ছিলেন তিনি। কিন্তু রোনাল্ডোর মতো মডরিচও শেষ তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ছুঁয়ে দেখেছেন। পাশাপাশি দেশকে বিশ্বকাপের রার্নাস-আপ করিয়েছেন তিনি। ফলে ফিফা-র বর্ষসেরা পুরস্কার উঠল তাঁর হাতেই। মডরিচ বললেন, “আমার কাছে এটা অবিশ্বাস্য মরসুম ছিল। জীবনের সেরা। আমি এখনও বুঝতে পারছি না যে, এত ভাল একটা বছর কিভাবে কাটালাম। ব্যক্তিগত ও দলগত ভাবে এত কিছু অর্জন করলাম। ভাবতেই অবাক লাগছে। আজীবন মনে থাকবে বছরটা।”
আরও পড়ুন: ফের ফিফা-র বর্ষসেরায় মনোনীত জিদান-রোনাল্ডো
অন্যদিকে প্রিমিয়র লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা মহম্মদ সালাহও মনোনীত হয়েছিলেন চূড়ান্ত তিনে। বছরের সেরা গোলের জন্য পুুসকাসে ভূষিত হয়েছেন তিনি। গত ডিসেম্বরে প্রিমিয়র লিগের ম্যাচে এভার্টনের বিরুদ্ধে অ্যানফিল্ডে দুরন্ত গোল করেছিলেন তিনি।
২০ বছর পর ফ্রান্সকে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করানোর জন্য সেরা কোচের পুরস্কার পেয়েছেন দিদিয়ের দেশঁ। রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্স ৪-২ গোলে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়েছিল। ব্রাজিলের মারিও জাগালো, জার্মানির ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের পর দিদিয়ের দেশঁ তৃতীয় ব্যক্তি যিনি কেরিয়ারে ফুটবলার এবং কোচ হিসেবে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন।
অন্যদিকে পেরুর সমর্থকরা পেয়েছেন ফিফা-র ফ্যান পুরস্কার। হাজার হাজার সমর্থকরা পেরু থেকে রাশিয়া উড়ে এসেছিলেন দেশের সমর্থনে। ১৯৮২-র পর পেরু আবার বিশ্বকাপে খেলেছে।
অন্য পুরস্কারে একবার চোখ রাখা যাক:
সেরা মহিলা খেলোয়াড়: মার্টা
সেরা গোলকিপার: থিবো কুর্তোয়া
ওয়ার্ল্ড ইলেভেন: ডেভিড ডি গিয়া, ডানি আলভেস, মার্সলো, সের্জিও র্যামোস, রাফায়েল ভারান, ইডেন অ্যাডার, এ’গোলো কান্তে, লুকা মডরিচ, ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো, কিলিয়ান এমবাপে, লিওনেল মেসি