মোহনবাগান আইএসএলে খেলবে, একথা আগেই জানানো হয়েছিল। ইস্টবেঙ্গলের আইএসএলে যোগদান ঘিরে সমর্থকদের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছিল। একে তো কোয়েস পুরো চুক্তি শেষ হওয়ার এক মাস আগেই পাততাড়ি গুটিয়েছে। তেমন করোনার সময়ে নতুন বিনিয়োগ খুঁজতেই গলদঘর্ম দশা ইস্টবেঙ্গলের।
আর্থিক আনুকূল্য না থাকায় আইএসএলে খেলা অনেকটাই সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের। তবে লাল হলুদের মুশকিল আসান হয়ে এবার হাজির স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল খেলার বার্তা নিয়ে সরাসরি তিনি ফোন করেছিলেন ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রফুল প্যাটেলকে। সেখানে তিনি নাকি সাফ জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলকে যেন দেশের সেরা লিগে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়।
মোহনবাগান এটিকের সঙ্গে আগেই সংযুক্তির পথে হেঁটেছে। তাই মোহনবাগান যে আইএসএলে খেলবে তা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে শঙ্কা ছিল ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে। দুমাস আগে খেলাশ্রীর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছিলেন, কলকাতার দুই ক্লাবকেই যেন দেশের সেরা লিগে খেলতে দেখা যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর ফেডারেশনের সঙ্গে বাক্যালাপের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারও। তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় জানিয়েছেন, "মুখ্যমন্ত্রী এআইএফফ সভাপতিকে ফোন করেছিলেন, এই ঘটনা সত্যি। উনি আমাদের বার্তা ফেডারেশনে পৌঁছে দিয়েছেন। ফেডারেশন প্রধান আমাদের বিষয়টি সদর্থকভাবে বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন।"
পাশাপাশি তিনি আরো জানান, "ঐতিহ্যবাহী ক্লাব হওয়ায় ইস্টবেঙ্গল সবসময় সেরা লিগে খেলতে চায়। আমাদের বার্তা মুখ্যমন্ত্রী এবং ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ফেডারেশনের কর্তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার আমাদের আইএসএল খেলার সম্ভবনা রয়েছে। আপাতত আইএসএল খেলার জন্য পুরোদমে চেষ্টা চালিয়ে যাব।"
এখনও কোচ নিয়োগ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও ধীরে ধীরে করোনা পরিস্থিতিতেও দল গুছিয়ে নিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। একমাত্র বিদেশি হিসাবে ওমিদকে সই করিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ঘরোয়া ফুটবলার হিসাবে দলে নেওয়া হয়েছে শংকর রায়, বলবন্ত সিং, কেভিন লোবো, বিকাশ জাইরু, শেহনাজ সিং এবং নবীন গুরুংকে।
আইএসএল খেলার বিষয়ে আশাবাদী ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি জানিয়েছেন, "এই সংক্রমনের সময়ে দেশের ফুটবলে সমস্ত কিছু আমরা নজরে রাখছি।"