ভারতের কুস্তি ফেডারেশনকে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব কুস্তি সংস্থা। এতেই লক্ষ্মীবারে বড়সড় দুঃসংবাদ ধাওয়া করেছে ভারতকে। এরপরেই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরাসরি টুইটে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে লিখে দিলেন, "ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড রেসলিং (UWW) ভারতের রেসলিং ফেডারেশনকে নিষিদ্ধ করেছে জেনে আমি হতবাক। গোটা জাতির জন্য এটা একটা চরম বিব্রতকর ব্যাপার। কেন্দ্রীয় সরকার লজ্জাজনকভাবে অহংকারী হয়ে কুস্তিগীর বোনদের দুর্দশার কারণ হয়েছে। গোটা ঘটনায় কুস্তিগীররা হতাশ। কেন্দ্র এবং বিজেপি আমাদের বোনদেরকে অশ্লীলতা এবং নিষ্ঠুর পুরুষতান্ত্রিকতা দিয়ে হয়রানি করে চলেছে। ভারতের উচিত তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং তাদের শাস্তি দেওয়া যাদের নৈতিক বোধবুদ্ধি নেই এবং যারা জাতির লড়াকু কন্যাদের মর্যাদার জন্য দাঁড়াতে পারে না। হিসাব-নিকাশের দিন খুব বেশি দূরে নয়।"
ব্রিজভূষন কাণ্ডের জেরে নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে ব্যর্থ হওয়ায় ভারতের কুস্তি ফেডারেশনকে নিষিদ্ধ করল বিশ্ব কুস্তি সংস্থা।
ভারতের অলিম্পিক স্বগস্থার বর্তমান সিইও কল্যাণ চৌবে এই বিষয়টি কনফার্ম করেছেন। বলা হল, ভারতের কুস্তিগিররা যদি বিশ্বমঞ্চে আগামী দিনে পারফর্মও করে তাহলে তা নিরপেক্ষভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
যদি ভারতীয় কুস্তিগিররা পদক জয়ও করেন, তাহলে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজবে না। পুরো বিষয়টি জানিয়ে বিশ্ব কুস্তি সংস্থা চিঠি লিখেছে ভারতের অলিম্পিক সংস্থাকে। চলতি অগাস্টের ২৫ থেকে ২৬ কুস্তির ট্রায়ালের দিনক্ষণ ঠিক ছিল। তবে এই ইভেন্টের ভাগ্য এখন স্পষ্ট নয়।
ব্রিজভূষণ কাণ্ডের জেরে কুস্তিগিরদের ক্রমাগত ধরনার প্রেক্ষিতে এর আগে ওয়ার্ল্ড কুস্তি ফেডারেশন কার্যত হুমকি দিয়ে জানিয়েছিল, নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে, ভারতের অলিম্পিক সংস্থাকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। ৪৫ দিনের ডেডলাইন চূড়ান্ত করে দেওয়া হয়েছিল।
নির্বাচনের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর এবার ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হল ওয়ার্ল্ড কুস্তি ফেডারেশন। ভারতের কুস্তি সংস্থার প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষন সিংয়ের মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। ধর্ষণে অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। আদালতের দোহাই দিয়ে দু-বার পিছনো হয়েছিল নির্বাচন। ব্রিজ ভূষনের জায়গায় আপাতত তাঁরই সহযোগী সঞ্জয় সিং এবং কমনওয়েলথ গেমসের সোনাজয়ী অনিতা শেওরেন বসতে পারেন।