Advertisment

দুর্ঘটনা থেকে সাফল্যের পোডিয়ামে! সিন্ধুর মঞ্চেই বিশ্বজয় মানসীর

মাত্র নয় বছর বয়সেই ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করেছিলেন মানসী। বেড়ে ওঠার সময়ে স্কুল ও রাজ্য়স্তরে সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন। তবে তারপরেই সেই অন্ধকার। ২০১১ সালের দুর্ঘটনায় প্রায় ৫০ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
manashi joshi

চ্যাম্পিয়ন মানসী যোশী (টুইটার)

সিন্ধু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সোনা এনে দিয়েছেন দেশকে। সেই সাফল্যের রেশ থাকতে থাকতেই এবার মানসী যোশীর হাত ধরে ব্যাডমিন্টনের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ থেকেই এল দ্বিতীয় সোনা। অবশ্য এটা প্যারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ। রবিবারেই সিন্ধুর মঞ্চে জয়ী হলেন মানসী। সোনার দিনেই আরও উঠে আসছে মানসীর অন্ধকার দিনের কথা। পেশায় ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার মানসী যোশীকে বছর আটেক আগে আচমকাই পথ দুর্ঘটনায় পা হারাতে হয়েছিল। জীবনে নেমে এসেছিল অন্ধকার। বাবা বিজ্ঞানী। মেয়েকে সহজে হার মানতে দেননি। পছন্দের ব্য়াডমিন্টন খেলতে দিয়েছিলেন। তারপরে এবারেই সাফল্য।

Advertisment

মাত্র নয় বছর বয়সেই ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করেছিলেন মানসী। বেড়ে ওঠার সময়ে স্কুল ও রাজ্য়স্তরে সাফল্যের মুখ দেখেছিলেন। তবে তারপরেই সেই অন্ধকার। ২০১১ সালের দুর্ঘটনায় প্রায় ৫০ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয়েছিল। কেমন ছিল সেই দিনগুলো? মানসীর বাবা গিরীশ সম্প্রতি জানিয়েছেন, "ওঁর বা পা পুরো বাদ দিতে হয়েছিল। প্রস্থেটিক পা দিয়েই পরে ও খেলা চালু রেখেছিল।" আর সেই ঘটনার ঠিক আট বছর পরে বাসেলে সিন্ধুর আগেই চ্যাম্পিয়ন তিনি। গতবারের চ্যাম্পিয়ন এবং বন্ধু পারুল পারমারকে হারিয়েই পোডিয়ামে ওঠেন তিনি।

আরও পড়ুন ভিডিও: দেশে ফিরে শুভেচ্ছায় ভাসলেন সিন্ধু, দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী-ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে

গোপীচাঁদের অ্যাকাডেমিতেই নিজের স্বপ্নপূরণের তালিম নিয়ে গিয়েছেন দিনের পরে দিন। তাই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই মানসী জানিয়ে গোপীর অ্যাকাডেমিকে ধন্যবাদ দিয়ে জানিয়েছেন, "এই জয় আমার কাছে স্বপ্নপূরণের উৎসব। পারুল তিন বারের চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে ওকে হারানো প্রায় দুঃসাধ্য ছিল। আমি সেটা করতে পেরেছি গোপীচাঁদের অ্যাকাডেমিতে ক্রমাগত ফিটনেস ও টেকনিকের উন্নতি ঘটিয়ে।" পরে
মানসী নিজের ফেসবুক পেজে লেখেন, "এই সাফল্যের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম। নিজের ঘাম ঝড়ানো সার্থক। বিশ্ব চ্যাম্পিয়শিপে এটাই আমাদের প্রথম সোনা।"

আরও পড়ুন ইনস্টাগ্রামে আবেগঘন পোস্ট সিন্ধুর, জাতীয় সঙ্গীত শুনে সোনার কন্য়ার চোখে জল

পরিবারের আদি বাসস্থান রাজকোটে। গিরীশ যোশীর দুই কন্যা এবং এক ছেলে। গিরীশবাবু নিজে ব্যাডমিন্টন খেলতেন। মানসীর বোন নুপুর জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে ইংল্যান্ডে প্যারা বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে মিক্সড ডাবলসে রুপো জিতেছিল। ২০১৭ সালে সিঙ্গলসেই ব্রোঞ্জ জিতেছিল গিরীশ। তবে চলতি বছরের শুরু থেকেই সোনা জেতার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিল। এবার ওর লক্ষ্য প্যারালিম্পিক।

Read the full article in ENGLISH

Badminton
Advertisment