মেরি কম পারেননি, তাই রবিবার বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জয়ের জন্য গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল তাঁর দিকে। তবে রুপো জিতেই আপাতত সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে মঞ্জু রাণিকে। রাশিয়ার উলান উলদেতে ৪৮ কেজির লাইট ফ্লাইওয়েট বিভাগে মঞ্জু রাণি রাশিয়ার একতারিনা পাল্টসেবার কাছে পরাস্ত হলেন। ১৯ বছরের তারকা এর আগে বিশ্বের একনম্বর উত্তর কোরিয়ার কিম হ্যাং মিকে হারিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। তবে চূড়ান্ত লড়াইয়ে রুশ প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ১-৪ ফলাফলে হার হজম করতে হল তাঁকে। সবমিলিয়ে মঞ্জুর রুপো জয়ে চলতি টুর্নামেন্ট থেকে ভারতের চতুর্থ পদক জয়।
শনিবারে মঞ্জু রাণি হারিয়েছিলেন তাইল্যান্ডের চুতমাত রক্ষতকে। ষষ্ঠ বাছাই এই তারকা ভারতীয় হিসেবে ১৮ বছরে প্রথমবার টুর্নামেন্টের আবির্ভাবেই ফাইনালে উঠে নজির গড়েছিলেন। এর আগে স্বয়ং মেরি কম ২০০১ সালে অভিষেকেই ফাইনালে উঠেছিলেন।
ফাইনালে অবশ্য মঞ্জু রাণি ভালই শুরু করেছিলেন। প্রথম রাউন্ডে তিনি প্রতিপক্ষকে অনেকটাই বেকায়দায় ফেলে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় রাউন্ডের শুরুতেও বোঝা যায়নি মঞ্জুকে শেষ পর্যন্ত হারের মুখ দেখতে হবে। তবে সেই রাউন্ডের শেষের দিকেই অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক হয়ে পড়েন তিনি। এতেই ফলাফলে ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়।
মঞ্জু রাণি ছাড়াও বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে বাকি পদকজয়ীরা হলেন মেরি কম, যমুনা বোরো এবং লভলিনা বোর্গোহেন। মেরি কম ৫১ কেজি বিভাগে সেমিফাইনালে ইউরোপ সেরা তুরস্কের বুসেনাজ সাকিরোগ্লুর কাছে হেরে বসেন। যমুনা বোরো ৫৪ কেজির সেমিফাইনালে শীর্ষ বাছাই তাইওয়ানের সিয়াও ওয়েন হুয়াংয়ের কাছে হারেন। ৬৯ কেজিতে লভলিনা বোর্গোহেন চিনের লিউ ইয়াংয়ের কাছে পরাস্ত হন শেষ চারে।
যাইহোক, চূড়ান্ত লড়াইয়ে হারলেও মঞ্জু রাণির পারফরম্যান্সের গ্রাফ উঠছেই। বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে রুপো জয়ের আগে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতেছিলেন। স্ট্র্যান্ডজা মেমোরিয়াল কাপে রুপো জিতেছিলেন। তার আগে ইন্ডিয়া ও তাইল্যান্ড ওপেনে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন।
Read the full article in ENGLISH