বাংলা বনাম হায়দরাবাদের রঞ্জি ট্রফির এলিট 'গ্রুপ এ' ম্যাচে সোমবার চোখ-ধাঁধানো ট্রিপল সেঞ্চুরির লক্ষ্যে পৌঁছলেন মনোজ তিওয়ারি। তাঁর ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ারে এই প্রথম ত্রিশতক মনোজের।
'বিশেষভাবে তৈরি ব্যাট' ব্যবহার করে খেললেন মনোজ, তবে ব্যাটই তো আর সব নয়। যেভাবে ইনিংসের গতি নিয়ন্ত্রণ করলেন তিনি, তা ছিল দেখার মতো। এবং এই ট্রিপল সেঞ্চুরি আরও গুরুত্ব লাভ করে এই কারণে যে, গোটা ইনিংসে আর কেউ সেঞ্চুরি পর্যন্ত করতে পারেন নি।
তাঁর ৪১৪-বলের ইনিংসে হায়দরাবাদের জোরে বোলারদের রীতিমত পাল্টা আক্রমণ করেন মনোজ, এবং তাঁর অপরাজিত ৩০৩ রানের মধ্যে রয়েছে ৩০টি চার ও পাঁচটি ছক্কা।
তবে হায়দরাবাদকে একেবারে সুযোগ দেন নি বাংলার ৩৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান, একথাও বলা যাবে না। বাংলার ইনিংসের ১০৫ তম ওভারে তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন হায়দরাবাদের রবি কিরণ।
কোয়ালিফাই করতে হলে সরাসরি জিততে হবে, এটা জানে বাংলা। অতএব জিতের জন্য মরিয়া মনোজ অ্যান্ড কোং। ইডেন গার্ডেনসে না খেলে কল্যাণীতে খেলবেন বলে মনস্থ করেন টিম কর্তৃপক্ষ, তবে প্রথম দিন ১৫ ওভারের মধ্যেই ৬০ রানে তিন উইকেট খুইয়ে বসে বাংলা। সেই পরিস্থিতি অবশ্য এখন আর নেই, কারণ স্কোরবোর্ডে ৬৩৫/৭ তুলে অবশেষে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে তারা।
রবিবার দিনের শেষে সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে মনোজ জানিয়েছিলেন, "আমি বলব এটা আমার ফেভারিট ইনিংসগুলোর একটা, হয়তো প্রথম সাতের মধ্যে। এর আগে আরও পাঁচবার ডবল সেঞ্চুরি করেছি, কিন্তু এবারেরটা স্পেশাল, কারণ খেলার খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এই রান করি আমি।" এর পর মনোজ যোগ করেন, "আমি ভালো খেলছিলাম, কিন্তু একটা বড় স্কোর পাওনা ছিল। কেরালার সঙ্গে খেলতে গিয়ে পিঠে টান পড়ে। আমি জানতাম ভালো ব্যাট করছি, এবং এটা প্রাপ্য। পরিস্থিতির দিক থেকে বিবেচনা করলে এটা আমার সেরা ইনিংসের একটা।"