Manoj Tiwary on not getting enough team india opportunities for MS Dhoni: সমস্ত ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন মনোজ তিওয়ারি। ঘরোয়া ক্রিকেটে চিরচেনা বাংলার জার্সিতে আর রঞ্জি হোক বা মুস্তাক আলি ট্রফিতে দেখতে পাওয়া যাবে না তাঁকে। তবে অবসরের সময় সরাসরি এবার মহেন্দ্র সিং ধোনিকে একহাত নিলেন বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি।
দেশের জার্সিতে ১২ ওয়ানডে ম্যাচে ২৮৭ রান করেছেন। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০১১-য় শতরান-ও রয়েছে তাঁর। তবে তাঁকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় দলে জায়গা হারাতে হয় বাংলার তারকাকে। তারপরেই অবসরের সময়েই জাতীয় দলের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন তারকা ব্যাটার।
অবসরকালীন মনোজ তিওয়ারির সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সাংবাদিকদের কাছে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন তারকা। বলে দেন, "২০১১-য় শতরান করার পরেও জাতীয় দল থেকে কেন আমাকে বাদ দেওয়া হল, বিশেষ করে সেই অস্ট্রেলিয়া সফরে, যখন সকলেই ব্যর্থ হয়েছিল! সুযোগ পেলে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই। রোহিত শর্মা, সুরেশ রায়না তো বটেই বিরাট কোহলির মত সুপারস্টার হওয়ার যোগ্যতা ছিল আমার। তবে তা হইনি। আজকে টিভিতে যখন দেখি, সমস্ত ক্রিকেটাররা এত সুযোগ পায়, আমার খারাপ লাগে।"
আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়ায় না খেললে লোক্যাল ট্রেনে হকারি করতেন সরফরাজ! বাবার সঙ্গে হয় আগাম প্ল্যানিং
এমনকি টেস্টে জায়গা জোটেনি তাঁর। এমনটাই জানিয়েছেন তারকা। বলেছেন, "৬৫ প্ৰথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পর আমার ব্যাটিং গড় ছিল ৬৫-এ। সেই সময় অস্ট্রেলিয়া ভারত সফরে এসেছিল। একটা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ১৩০ করি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও এক প্রীতি ম্যাচে ৯৩ করেছিলাম। টেস্টে ডাক পাওয়ার খুব কাছেই ছিলাম। তবে ওঁরা যুবরাজকে ডেকে নেয়। তাই টেস্ট ক্যাপ তো বটেই সেঞ্চুরি করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হওয়ার পর টানা ১৪ ম্যাচ আমাকে উপেক্ষা করা হয়। যখন আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকে, তখন এরকম ঘটনা যে কোনও ক্রিকেটারের মনোবল ভেঙে দেয়।"
২০০৮-এ টিম ইন্ডিয়ায় অভিষেক ঘটেছিল মনোজ তিওয়ারির। তারপর সাত বছর এবং আটটা আলাদা আলাদা সিরিজে জাতীয় দলের হয়ে ১২ ওয়ানডে, তিনটে টি২০ ম্যাচ খেলেছেন তারকা। তবে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত শতরান করার পরে অজ্ঞাত কারণে সাত মাস জাতীয় দলে জায়গা পাননি। পরে যদিও সুযোগ পান। ২০০৪ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয় মনোজের। তারপর ১৪৭ ম্যাচে ১০ হাজারের ওপর রান করেছেন। ৩৮ বছরের তারকা রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্বও সামলেছেন।