Advertisment

টিম ইন্ডিয়া কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়: মনোজ তিওয়ারি

ভারতীয় দলের ব্রাত্য ক্রিকেটার তথা বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি প্রায়ই বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন একাধিক ইস্যুতে। এই বিশেষ সাক্ষাৎকারে নির্বাচকদের একহাত নিলেন তিনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Manoj Tiwary Slams selectors and raises many questions after being snubbed

টিম ইন্ডিয়া কারোর ব্য়ক্তিগত সম্পত্তি নয়: মনোজ তিওয়ারি (এক্সপ্রেস ফোটো)

'মনোজ তিওয়ারি ২.০'। আইপিএল থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক দলীপ ট্রফিতে সুযোগ না পাওয়া নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন মনোজ তিওয়ারি। বলা যেতে পারে এটা তাঁর নয়া সংস্করণ। শেষ একবছরে রীতিমত রণংদেহী মেজাজে টুইটারে ব্য়াট চালাচ্ছেন মনোজ তিওয়ারি। ভারতীয় দলের ব্রাত্য ক্রিকেটার তথা বাংলার অধিনায়ক প্রায়ই বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছেন একাধিক ইস্যুতে।

Advertisment

কোথায় মনোজের ক্ষোভ? কী তাঁর প্রত্যাশা? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বললেন মনোজ। সাফ বুঝিয়ে দিলেন, যাই হয়ে যাক, কারোর জন্য় নিজেকে বদলাবেন না তিনি। নায্য কথা বলতে পিছপা হবেন না টিম ইন্ডিয়ার এই ক্রিকেটার। মনোজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের নির্বাচিত অংশ তুলে দেওয়া হল এই প্রতিবেদনে।

দল নির্বাচনের কি কোনও মাপকাঠি আছে? পারফর্ম করেও মনোজ কেন বারবার ব্রাত্য? 

বাকিদের কথা বলতে পারব না। আমার কথাটা বলতে পারি, সর্বোচ্চ পর্যায়ে ক্রিকেট খেলেছি আমি। আমার জানা নেই, ক্রিকেটের ইতিহাসে এরকম দৃষ্টান্ত আছে কি না, দেশের হয়ে ১০০ করার পরেও ১৪টা ম্যাচে একজনকে সুযোগ দেওয়া হয় না। ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার পরে বাদ পড়লাম দল থেকে। ২০১১-তে সেবার চেন্নাইয়ে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেছিলাম, তারা কিন্তু অত্যন্ত অভিজ্ঞ টিম ছিল। কেমার রোচ, সুনীল নারিনরা ফুল ফর্মে খেলছেন। গত বছর ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে আমার একটা রেকর্ড আছে। অনেকেই হয়তো সেটা জানেন না। দেওধর ট্রফি আর বিজয় হাজারে ট্রফি মিলিয়ে ১০০-র ওপর অ্যাভারেজ ছিল আমার। আমার জায়গায় অন্য কোনও প্লেয়ার থাকলে সরাসরি ইন্ডিয়া টিমে জায়গা করে নিত। আমি কিন্তু পাইনি। আইপিএলে পুণে সুপারজায়েন্টের হয়ে চারটে এফবিবি অ্যাওয়ার্ড পেলাম। দুর্দান্ত খেললাম। তাও কেউ কোথাও রাখেনি আমায়।

Manoj Tiwary Slams selectors and raises many questions after being snubbed ছবি: মনোজ তিওয়ারির টুইটার থেকে

নির্বাচকদের সঙ্গে আপনার সমস্যাটা ঠিক কোথায় হলো?

আমার সবসময় মনে হয়েছে, আমার ক্ষেত্রে কমিউনিকেশন গ্যাপ হয়েছে। আমি মনে করি, শুধু স্পোর্টস নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এই কমিউনিকেশনটা হওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। জানেন তো, প্লেয়ার থেকে ক্যাপ্টেন হয়ে কোচ, সবাই একটা চেইনের মধ্যে বাঁধা। কথা না বললে তো প্লেয়ার বুঝতেই পারবে না, সে কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, দলে ঠিক কী ভূমিকা তার! কী চাওয়া হচ্ছে তার থেকে। সেঞ্চুরি করে কেন বাদ পড়লাম, সেটাই মাথায় ঢুকল না। এটাই তো প্রত্যাশিত, যে লোকটা দেশের হয়ে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করে, সে অন্তত পরের ম্যাচটায় স্বাভাবিকভাবেই খেলবে। যদি আমার সঙ্গে নির্বাচকরা যোগাযোগ করতেন, তাহলে বুঝতে পারতাম কী চলছে। সেঞ্চুরি করার পর একটা প্লেয়ারের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকে। এই কমিউনিকশনে গ্যাপের জন্যই অনেকের কেরিয়ার পড়তে থাকে।

কমিউনিকেশন নিয়ে শেষ কয়েক বছরে অনেক ক্রিকেটার মুখ খুলেছেন, কীভাবে এটা ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে...

আমি আপনাকে বলছি, এই কমিউনিকেশন ইস্যুটা সম্ভবত আমিই প্রথম তুলেছিলাম। তখন ইরানি ট্রফি খেলছিলাম আমরা। সেসময় বিক্রম রাঠোর আমাদের নির্বাচক ছিলেন। সাধারণত ইরানি কিম্বা ইন্ডিয়া এ/বি দলে নির্বাচককেই কোচ করে দেওয়া হয়। তাঁকেই বিষয়গুলো দেখতে হয়। বিক্রমের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। আমি তখন ওকে বলেছিলাম, খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলাটা শুরু করো। তারপর থেকেই কিন্তু শুরু হয় বিষয়টা। নিশ্চই ওঁরা পরে বিষয়টা নিয়ে ভেবেছেন।

আসলে একজন খেলোয়াড় তার প্রকৃত অবস্থানটা জানতে পারে এটার মাধ্যমে। নাহলে তাদের এগিয়ে যাওয়াটা খুব মুশকিল হয়ে যায়। কথাটা বলতেই হবে। দেখুন, শেষ এক-দেড় বছরে ভারতের সাম্প্রতিক ক্রিকেটাররাই কিন্তু দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুলেছেন। দেখতে গেলে আমি সবার শেষে বলেছি। মুরলী বিজয়, করুণ নায়ার, শ্রেয়স আয়ার, অজিঙ্ক রাহানে। সবাই কিন্তু টপ প্লেয়ার। তার মানে কিছু তো মিসিং। সেটারই সমাধান করতে হবে। খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বললে, সে নিজের একশ শতাংশ উজাড় করে দেবে। জীবন দিয়ে দেবে সে মাঠে।

publive-image ছবি: মনোজ তিওয়ারির টুইটার থেকে

আপনার এক একটা টুইটে বিতর্কের ঝড় উঠছে, ঠিক কী বার্তা দিতে চাইছেন?

বিল গেটস বলেছেন, "লাইফ ইজ নট ফেয়ার, গেট ইউজড টু ইট।" মানছি, লাইফ ইজ নট ফেয়ার। কিন্তু গণতান্ত্রিক দেশে প্রশ্ন করার স্বাধীনতা তো আমার রয়েছে (হাসতে হাসতে)। আমাদের এটা শেখানো হয়েছে যে, কিছু যদি বলি তাহলে দল থেকে বাদ পড়তে পারি। এই জন্য খেলোয়াড়রা এগিয়ে আসে না। ইস্যুগুলো নিয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। কেউ কোনও প্রশ্নই করে না। কিন্তু দিনের শেষে কেরিয়ারটা আমার, ভবিষ্যতও আমার। আমি শুধু আমার হয়ে প্রশ্ন করি না। অনেকের হয়েই কথা বলি। বিশ্বাস করবেন না, কোনও কিছু বলার পর প্রচুর ক্রিকেটারদের টেক্সট পাই। ওরা বলে, আমি সাহসটা দেখিয়েছি। আমি উচিত কথা বলেছি। আমার কথায় কোথাও তারা আশার আলো পায়।

মনোজ কিন্তু সবার কাছে 'ইয়েস ম্যান' হতে চায় না। প্রয়োজনে আবার প্রশ্ন করব আমি। জানি প্রশ্ন করলেই সাইডলাইনে বসতে হবে, কেউ সমর্থন করবে না। কিন্তু ভগবান একটা পরিচয় দিয়েছেন। কারোর কথা ভেবে নিজের চরিত্র বদলাব না। আপনি আমার সারা জীবনের ইন্টারভিউ দেখে নিন। খেয়াল করে দেখবেন, আমি অনেক কম বয়সেও বড় বড় কথা বলেছি। সবটাই ক্রিকেট এবং দলের স্বার্থে। আমার কথা লোকেদের পছন্দ না হলে কিছু করার নেই। কেউ আমাকে বসিয়ে খাওয়াচ্ছে না। নিজের যোগ্যতায় ব্রেড অ্যান্ড বাটারটা জোগাড় করেছি। কিন্তু কারোর সঙ্গে লড়াই নেই আমার। কারোর বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই। আমি শুধু স্বচ্ছতা চাই। আমার ভিতর থেকে যেটা বেরিয়ে আসবে, সেটাই বলেছি আর ভবিষ্যতেও বলব।

publive-image ছবি: মনোজ তিওয়ারির টুইটার থেকে

প্রতিভার ভিত্তিতেই ভারতের দল তৈরি হচ্ছে, বাংলায় কি ট্যালেন্ট নেই তাহলে? সৌরভ-ঋদ্ধির পর আর কেউ নেই?

বাংলায় কিন্তু ট্যালেন্টের কোনও অভাব নেই। এটা আমি আগেও বলেছি। প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। বাংলা কেন ব্রাত্য, তার উত্তর আমার কাছে নেই। এই মুহূর্তে দু'টো প্লেয়ারই আছে দলীপে। অভিমন্যু ঈশ্বরন আর ঈশান পোড়েল। ভারতীয় দলে ওরা অটোম্যাটিক সিলেকশন হওয়া উচিত। ওদের কথা বলারই প্রয়োজন নেই। ট্য়ালেন্টের ওপর নির্ভর করেই দল করার কথা বলা হচ্ছে এখন। মহম্মদ সিরাজ, খালিল আহমেদ, নবদীপ সাইনি ওরা তো ট্য়ালেন্টেড বলেই উঠে এসেছে! খেয়াল করে দেখুন, ওরা সেভাবে প্রথম শ্রেণির বা এক্স-ওয়াই-জেড  টুর্নামেন্ট কিছুই খেলেনি আগে। তাহলে বাংলার ছেলেরা কী ভুল করল?

শ্রীবৎস গোস্বামীর কথাই ধরুন। ঋদ্ধির পর ওর কিপিং আর ব্য়াটিং দেখলে মাথা ঘুরে যাবে। মুকেশ-আকাশদীপরা রয়েছে। এরা ভারতীয় দলে খেলার দাবিদার। যদি সত্য়িই ট্য়ালেন্ট দেখা হতো তহালে আমাদের ছেলেরা কী ভুল করল? ওরা কেন সুযোগ পাবে না? ফেয়ার ডিসিশন হোক না! সেটা সবার ক্ষেত্রেই এক হওয়া কাম্য। কখনও দেখেছেন, পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটের প্রথম একাদশে চারজন উইকেটকিপার খেলছে? তার মানে বার্তা যাচ্ছে, ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটাররা মিডল অর্ডারে খেলার যোগ্য নয়, এই তিন-চারজন উইকেটকিপারকে ব্যাটসম্যান হিসাবেই দেখানো হচ্ছে। যারা সারা বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে এভাবে খাটাখাটি করছে, প্রাক মরসুম প্র্যাকটিস করছে, তাদের জায়গাটা কোথায়? এসবের উত্তরই নেই কোথাও। কেউ প্রশ্নও করবে না। আমি এই স্বচ্ছতাই চাইছি।

আম্বাতি রায়ডু কি অভিমানেই অবসর নিয়ে নিলেন? কী মনে হয় আপনার?

রায়ডুর মধ্যে এখনও অনেক ক্রিকেট আছে। ছেলেটার কেরিয়ারটাই শেষ হয়ে গেল। শেষ এক-দেড় বছর ওকে চারের জন্য খেলানো হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে সেভাবে। হার্দিক পাণ্ডিয়ার চোটের জন্য উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হলো বিজয় শঙ্করকে। বিজয় কয়েকটা ভাল ইনিংস খেলেছে। ম্যাচ কিন্তু জেতায়নি। প্রতিশ্রুতিবান বলা যেতে পারে। প্রতিশ্রুতি তো অনেক প্লেয়ারেরই রয়েছে।

আচ্ছা হার্দিক যখন ফিট হয়ে গেল, তাহলে বিজয় কেন বাদ গেল না দল থেকে, চোটের পর বিশ্বকাপে মায়াঙ্ককে ডাকা হলো। স্ট্যান্ডবাইতে কিন্তু রায়ডুই ছিল। তাহলে ওকে কেন নেওয়া হলো না? রায়ডুর তো একটা ক্রিকেটীয় আবেগ আছে। সেটার একটা দাম রয়েছে। যাঁরা নির্বাচকের চেয়ারে রয়েছেন তাঁরা অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার। ক্রিকেটাররা কিন্তু তাঁদের মতো হবে না। রায়ডু যখন থ্রি-ডি টুইট করল বিশ্বকাপে সুযোগ না পেয়ে, তখনই নির্বাচকদের আঁতে ঘা লাগল। নির্বাচকরা ইগোতে নিয়েছেন বিষয়টা। জাতীয় দল নির্বাচনের সময় ইগোটাকে সরিয়ে রেখে দলটা করাই কাম্য।

publive-image ছবি: মনোজ তিওয়ারির টুইটার থেকে

এতগুলো বছরেও চার নম্বর নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল, দায়টা কার? ওই জায়গায় কার খেলা উচিত?

পাঁচজন নির্বাচক মিলে তিন-চার বছরে একটা প্ল্যান করতে পারলেন না। দলে ১৫ জনের মধ্যে ১৩ জন অটোম্যাটিক চয়েস। বাকি থাকে দু'টো পজিশন। তার মধ্যে একটা চার নম্বর। এটা বোঝার জন্য রকেট সায়েন্স জানতে হয় না। এত বছর থেকেও নির্বাচকরা কোনও পরিকল্পনাই করতে পারলেন না। তারই প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি মাঠে। রিশাফল হবেই। রোজই পরিবর্তন চলছে। দিলীপ বেঙ্গসরকর, সুনীল গাভাস্কর, যুবরাজ সিং ও হরভজন সিংরা কিংবদন্তি। তাঁরা পর্যন্ত নির্বাচকদের দুষেছেন। তখন বুঝতেই হবে তাঁদের একটা দায় রয়েই যাচ্ছে। দল বেছে নেওয়ার চোখটাই নেই।

আমি বলব চারে মণীশ পাণ্ডেকে সুযোগ দেওয়া উচিত। অন্তত ৬-৭টা ইনিংস দেওয়া হোক। পন্থ পাঁচ বা ছয়ে খেলুক। ঋষভ-হার্দিকরা পরে আসুক। কেদার এখন আউট অফ ফেভার। চারের জন্য মণীশই ভাল। ওর সেই ম্যাচ টেম্পারামেন্ট রয়েছে। চারে গিয়ে ইনিংস বিল্ডআপের টেম্পারামেন্ট পন্থের নেই। ওকে আমরা দোষও দিতে পারি না। ১৯-২০ বছরের একটা ছেলের থেকে পরিণতি আশা করা যায় না। ওর এখন রক্ত গরম। ও বাহুবলী হতে চাইবে। সেভাবেই ওকে খেলানো হোক। মিডলকে ওপেনিংয়ে আনা, ওপেনারকে আবার মিডলে ফেরানোর পরীক্ষায় আমি বিশ্বাসী নই।

এমএস ধোনির কি এখনও খেলা চালিয়ে যাওয়া উচিত?

ধোনি দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। ওঁর অনেক অবদান রয়েছে এই দলে। সম্প্রতি শচীনও বলেছেন ধোনির এবার সরে আসার সময় হয়েছে, অনেক ক্রিকেট খেলেছেন। যদিও বিরাট বলছে দলে প্রয়োজন ধোনিকে। আমার মনে হয় এবার নির্বাচকরা এই কঠিন সিদ্ধান্তটা নিন। সাহসিকতার সঙ্গেই এই পদক্ষেপ নিতে হবে।

সম্প্রতি ধোনির পারফরম্যান্স অনেকটা পড়েছে। একটা বা দুটো ইনিংস হলে বলতাম না। দেশের প্রতিনিধিত্ব করার সময় সেরা দলটাই খেলাতে হবে। যে পারফর্ম করবে সেই খেলবে, যে পারবে না তাকে সরে যেতে হবে। এটাই নিয়ম। ধোনির ক্ষেত্রে তাঁর অতীতের গরিমা দেখেই নির্বাচকরা আরও সুযোগ দিচ্ছেন কি না, ভাবতে হবে। দেশে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে। তাদের সুযোগ পাওয়া উচিত। ভারতীয় দল কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এটা দেশের দল। এটা মাথায় রাখতে হবে।

publive-image ছবি: মনোজ তিওয়ারির টুইটার থেকে

আবার শাস্ত্রী কোচ, কী প্রত্যাশা থাকবে তাঁর কাছে?

কপিল দেবের মতো মানুষ তাঁকে বেছে নিয়েছেন। ওঁর কাছ থেকে প্রত্যাশা থাকবেই। আমাদের দেশে বড় ইভেন্টের রেজাল্টই দেখা হয়। আইসিসি-র একটা ইভেন্টেও আমরা শাস্ত্রীর কোচিংয়ে জিতি নি। হোম সিরিজের কথা যদি ধরা হয়, তাহলে আমাদের বরবারই টার্নিং ট্র্যাক থাকে। আমরা জিতবই জিতব। জাদেজা-অশ্বিনরা আড়াই দিনে খেলা শেষ করে দেন। ওর জন্য কোচ লাগে না। কোচ-ক্যাপ্টেনকে বড় ইভেন্টেই মনে রাখেন মানুষ। শাস্ত্রী আরও দু'বছর এক্সটেনশন পেয়েছেন। ২০২১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলের সঙ্গে তিনি। দেখা যাক কী হয়! শাস্ত্রীর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, সেটা বলাই যায়।

বাংলার কোন ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা দেখেতে পাচ্ছেন?

যদি কয়েকটা নাম বলতে হয়, তাহলে অবশ্যই বলব অভিমন্যুর কথা। অনেক দিন থেকেই আমি ওর কথা বলছি, ও টেস্ট ক্রিকেট না খেললে আমি হতাশ হব। বোলিংয়ে ইশান পোরেল, মুকেশ কুমার ও আকাশদীপ নাথ রয়েছে। ওদিকে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় তো রয়েছেই। ও কিন্তু ইন্ডিয়া-এ দলের হয়ে খেলেছে। সম্প্রতি ভাল পারফর্ম করতে পারছে না সুদীপ। কিন্তু অবশ্যই কামব্যাক করবে। শেষ তিন বছরে জুনিয়র প্লেয়ারদের ওপর অনেক ইনভেস্ট করেছি আমরা। ওরা পরিণত হয়েছে। বাংলা এই মরসুমে ট্রফি পাবেই। লিখে রাখুন। এতটা ভুল হতে পারি না আমরা।

BCCI Manoj Tiwary IPL
Advertisment