Advertisment

ব্যাগে আগ্নেয়াস্ত্র কেন! সোনাজয়ী তরুণীকে বিমানবন্দরে চরম হেনস্থা

বিমান কর্মচারীর বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ দায়ের করলেন তারকা এথলিট। ক্ষমা চাইল বিমান কর্তৃপক্ষ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

তারকা শুটার। আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে পদকজয়ের অন্যতম ভরসা তিনি। সেই মানু ভাকরকেই এবার হেনস্থার মুখে পড়তে হল বিমানবন্দরে। অভিযোগের তির এয়ার ইন্ডিয়া-র দিকে।

Advertisment

এয়ার রাইফেল, পিস্তল শুটিংয়ের সরঞ্জাম নিয়ে তিনি দিল্লি থেকে ভূপালে যাচ্ছিলেন। তার কাছে পিস্তলের জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের যাবতীয় নথিও ছিল। তা সত্ত্বেও ঝামেলা এড়াতে পারলেন না। শেষমেশ ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুর হস্তক্ষেপে রেহাই মিলল তাঁর। পরে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষও।

আরো পড়ুন: ভাই অর্জুন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে! আনন্দে আত্মহারা দিদি সারা, দিলেন বিশেষ বার্তা

ঠিক কী ঘটেছিল? কমনওয়েলথ গেমস এবং ইউথ অলিম্পিকের সোনাজয়ী ১৯ বছরের শুটার নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন টুইটারে, "বিমানে বোর্ডিং করতে দেওয়া হচ্ছে না আমাকে। DGCA অনুমতিপত্র থাকা সত্ত্বেও ১০,২০০ টাকা চাওয়া হচ্ছে আমার কাছে। এমনকি এয়ার ইন্ডিয়া কর্তা মনোজ গুপ্তা DGCA-র কথা শোনেননি।"

এরপরেই দ্বিতীয় একটি টুইটে বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি, DGCA, বসুন্ধরা রাজে, এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করে টুইট করেন, "আমার অনুশীলনের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যেতে হয়। এয়ার ইন্ডিয়া আধিকারিকদের উচিত ক্রীড়াবিদদের ন্যূনতম সম্মান দেওয়া এবং অতিরিক্ত অর্থের কথা না বলা।"

একের পর এক টুইটের পরেই মানু ভাকর ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেন রিজিজুর হস্তক্ষেপে বিমানে চড়ার অনুমতি পান। তবে তিনি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের শাস্তির দাবি করেছেন।

সংবাদসংস্থা পিটিআইকে মানু বলেছেন, "এয়ার ইন্ডিয়া এখন স্রেফ নথি চাওয়ার কথা বলছে এবং আধিকারিকদের কর্তব্যের প্রসঙ্গ জানাচ্ছে। তবে সমস্ত কিছুই সিসিটিভিতে রেকর্ডেড রয়েছে। আমার মোবাইল কেড়ে নিয়ে মায়ের তোলা ছবি মুছে দিয়েছে। যে অসম্মান আমাকে সইতে হয়েছে তার জন্য ওরা সর্বতভাবে দায়ী। মনোজ গুপ্তা আমার সঙ্গে এমন ব্যবহার করেছেন যেন আমি কোনো দাগি অপরাধী।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Air India athlete
Advertisment