Manu Bhaker net worth: বয়স মাত্র ২২। প্যারিস অলিম্পিকে ১০ মিটার এয়ার রাইফেলসে ব্রোঞ্জ জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন মানু ভাকার। কিন্তু, এটা অনেকেই জানেন না যে মানু শুধু একজন ক্রীড়াবিদই নন। তিনি একজন কোটিপতিও। সম্পত্তির হিসেবে টেক্কা দিতে পারেন অনেককেই। অনেক ছোট বয়স থেকেই দেশের জন্য পদক আনছেন মানু। ২০১৮ সাল থেকেই তিনি ভারতের হয়ে পদক নিয়ে আসছেন। আইএসএসএফ বিশ্বকাপ এবং কমনওয়েলথ গেমস থেকেও তিনি পদক নিয়ে এসেছেন। আর, এই সব পদক আনার দৌলতে ছোট বয়সেই মানু কোটিপতি হয়ে গিয়েছেন।
মানু ভাকারের সম্পত্তি
কিছু মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, মানু ভাকারের সম্পত্তির পরিমাণ ১২ কোটি টাকা। এই টাকা টুর্নামেন্ট জিতে, পুরস্কার হিসেবে, বিজ্ঞাপন এবং স্পনসরশিপ থেকে তিনি পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি ভারতীয় শুটিং জগতের পোস্টার গার্ল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাঁর সেই জনপ্রিয়তা ধরা পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর বহু ফ্যান এবং ফলোয়ার রয়েছে। ইনস্টাগ্রামেই আছে ২ লক্ষ ফলোয়ার। আর, টুইটারে আছে দেড় লক্ষেরও বেশি ফলোয়ার। শুধু টুর্নামেন্ট বা স্পনসরশিপের অর্থই নয়। মানু ভাকারকে রাজ্য সরকারও অর্থ দিয়েছে। কমনওয়েলথ গেমসে মেডেল জয়ের পর মানু ভাকারকে হরিয়ানা সরকার ২ কোটি টাকা দিয়েছিল।
মানু ভাকারকে ওজি স্পনসর করে। তাঁর ট্রেনিং, টুর্নামেন্টের লক্ষ্যে ট্রেনিংয়ের জন্য খরচ, সবটাই ওজি দেয়। ভারত সরকারের টার্গেট অলিম্পিক পোডিয়াম স্কিমেরও অংশ মানু। এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার প্যারিস অলিম্পিকের লক্ষ্যে মানুর জন্য ১.৬৮ কোটি টাকা খরচ করেছে। তাঁর পিস্তল সারাই করা, এয়ার পেলেটস বা গুলির পিছনে ওই টাকা খরচ হয়েছে। এর পাশাপাশি, জার্মানিতে নিজস্ব কোচ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন মানু। সেই খরচও বহন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন- ভারতকে দুরমুশ করে এশিয়া কাপ জয় শ্রীলঙ্কার! লঙ্কার ঝাঁজে দিশেহারা নীল জার্সি
আর, এই সব খরচ কেন্দ্রীয় সরকার বহন করেছে বলেই প্যারিস অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক পেল ভারত। পদক জয়ের পর দেশ-বিদেশ থেকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসছেন মানু। ফোন করে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অলিম্পিকে পদকজয়ী এই ভারতীয় ক্রীড়াবিদকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
টোকিও অলিম্পিকের সময় পিস্তলের সমস্যা আটকে দিয়েছিল মানু ভাকারকে। কিন্তু, এবার নয়বারের শুটিং বিশ্বকাপে পদকজয়ী মানুকে আটকানো যায়নি। ৫৮০ পয়েন্ট নিয়ে কোয়ালিফাইং রাউন্ডে তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন। ফাইনালে সবচেয়ে পারফেক্ট স্কোর (২৭) অর্জন করেছেন হরিয়ানার এই শুটার।