দেশের গর্ব মেরি কম এখন বিশ্বের এক নম্বর বক্সার। ইন্টারন্যাশনাল বক্সিং অ্যাসোসিয়েশনের (এআইবিএ) সদ্য প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে মহিলাদের লাইট ফ্লাইয়ের (৪৫-৪৮ কেজি বিভাগ) মগডালে বিরাজমান মণিপুরের ‘ম্যাগনিফিসেন্ট মেরি’। এআইবিএ-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিংয়ের পাতায় এক নম্বরে জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম। মেরির ঝুলিতে ১৭০০ পয়েন্ট। দু’নম্বরে থাকা ইউক্রেনের ওখোতা হানা তাঁর থেকে ৬০০ পয়েন্টে পিছিয়ে।
মহিলাদের লাইট ফ্লাইয়ের (৪৫-৪৮ কেজি বিভাগ) মগডালে বিরাজমান মণিপুরের ‘ম্যাগনিফিসেন্ট মেরি’।
এই ওখোতাকে হানাকে হারিয়ে গত বছর নভেম্বরে ইতিহাস লিখেছিলেন মেরি। নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওখোতাকে ৫-০ ধরাশায়ী করে এই টুর্নামেন্টে ষষ্ঠ স্বর্ণপদক ছিনিয়ে নেন তিনি। তিন সন্তানের মা ৩৫ বছরের মেরি এই কৃতিত্বের সৌজন্যে বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের ইতিহাসে সফলতম বক্সার (পুরুষ বা মহিলা) হয়ে যান। কিংবদন্তি কিউবান বক্সার ফেলিক্স সাভনের সঙ্গে একাসনে বসলেন তিনি। এই নিয়ে এই টুর্নামেন্টে সামগ্রিকভাবে মেরি সপ্তম পদক পান-ছ’টি সোনা এবং একটি রূপো আসে তাঁর ঝুলিতে। ২০২০ অলিম্পিকের স্বপ্ন জিইয়ে রাখার জন্য মেরিকে ৫১ কেজিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। কারণ অলিম্পিকে ৪৮ কেজি নেই। ২০১৮ সালটা মেরির দুর্দান্ত কেটেছে। গোল্ডকোস্টে আয়োজিত কমনওয়েলথেও সোনা জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বরেকর্ড মেরি কমের, সোনার ‘ছয়-লাপ’
অন্যদিকে এআইবিএ-র ৫১ কেজি বিভাগে পিঙ্কি জাংরা র্যাঙ্কিংয়ে আট নম্বরে এসেছেন। ৫৪ কেজিতে এই একই স্থানে রয়েছেন মণীষা মাউন। ৫৭ কেজিতে সোনিয়া লাথার রয়েছেন দু’নম্বরে। ৬৯ কেজি বিভাগে লভলিনা বোরগোহায়েন রয়েছেন পাঁচ নম্বরে।